চাকরি না পেয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলা সদরের বংশাই রোডে অবস্থিত শ্বশুরবাড়ির এক কক্ষে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসায় বসবাস করছেন। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতেও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো নিজের শোবার ঘরেই ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার নিচে যান তিনি। ফেরেন ৯টার দিকে। বাসায় ফিরলে স্ত্রী তাকে নাশতা খাওয়ার জন্য বললে পরে খাবেন বলে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন মনিরুল। এ সময় তার এই অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্ত্রী আইভি ও শাশুড়ি ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এরপর কিছু সময় অতিবাহিত হলেও দরজা খোলা না হলে এবং ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে চিৎকার করেন ত্রী আইভি ও শাশুড়ি। চিৎকার শুনে পাশের ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা এসে স্টিলের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেখতে পান মনিরুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মনিরুলের স্ত্রী আইভি আক্তার জানান, ‘উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ বেকার জীবন অতিবাহিত করছিলেন মনিরুল। এ ব্যাপারে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। রাতে তার মা ও বোনের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন। সকালে মনিরুলের যশোর যাওয়ার কথা ছিল’।
নিহত মনিরুল ইসলাম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে। তার স্ত্রী আইভি আক্তার সরকারি সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তবে মনিরুল বেকার ছিলেন। মনিরুল ও আইভির সংসারে পাঁচ বছরের ছেলে মুসা ও পাঁচ মাস বয়সী আরিশা নামে কন্যা রয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply