নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের ঝিকরগাছায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিক্ষার্থী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। গত ২২ জুন ঝিকরগাছা বাজারস্থ রিয়াল মেডিকেল সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষকের প্ররোচনায় গোপনে অ্যাবোরশনের চেষ্টা চালায় শিক্ষার্থীর পরিবার।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কাশিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তারেক হোসেন নাচ শেখানোর সব খরচ দেওয়ার কথা বলে ঝিকরগাছা বিবর্তন শাখায় ভর্তি করে। পরবর্তীতে প্রায়ই রাতে ওই শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাওয়া আসা করতে দেখেছি। এরই এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ মেলামেশা করে।
ফলে ওই শিক্ষার্থী আন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি। রিয়াল মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফ্যামিলি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ বাশার বলেন, তিনি ওই মেয়েটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি দেখে হতবাক হয়েছিলেন। মেয়েটির সঙ্গে মা-চাচি এসেছিল। ঘটনা জানতে পেরে মেয়েটির মা সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা সব কিছু স্বীকার করেছিল। এ ব্যাপারে কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি খলিলুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার মাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে মা হাসপাতালে গেছে বলে তার পিতা সাংবাদিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়েছেন। রমজানের ছুটি শুরুর পূর্বে ২০ এপ্রিল থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে বলে স্কুলের হাজিরা খাতা সূত্রে দেখা গেছে।
এমনকি চলতি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেনি ওই শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক তারেক হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইতোঃপূর্বে শিক্ষক তারেক হোসেন ইয়াবাসহ ঝিকরগাছা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন জেল হাজতে ছিলেন বলেও জানা গেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply