গাজীপুরের কালীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে ছিনতাই চক্রের ৮ নারীকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা ডাকবাংলোর সামনে থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দরমণ্ডল গ্রামের সেন্টু মিয়ার স্ত্রী পিংকি বেগম (২২), একই এলাকার বদরুল মিয়ার স্ত্রী মাফিয়া বেগম (২০), সোলমানের স্ত্রী খাইরুন (২৮), গোলাপ মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (২০), জামান মিয়ার স্ত্রী খাদিজা (১৮), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী পারুল বেগম (৩০), মন্নান মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৭) ও কামরুল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (২৫)। তাদের মধ্যে পিংকির কোলে সাকিব নামের ৯ মাসের, খাইরুনের কোলে আলী নূর নামের দেড় বছরের ও পারুলের কোলে সারোয়ার নামের ৯ মাসের তিনটি শিশু ছিল। ওই নারীদের দাবি এই শিশুরা তাদেরই সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের উত্তরসোম গ্রামের হালিম মিয়ার ছেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক দেলু মিয়া (২৮) জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাত্রী নিয়ে আসেন। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পরবর্তী যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কম্পাউন্ডে। এ সময় তিনি কমপ্লেক্স ভবনের সামনে ৪ নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। পরে তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগে একটু ঘুরতে যান। এ সময় ওখানেও ৪ নারীকে বাচ্চা কোলে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। এ সময় ওই ৪ নারীর মধ্যে একজনকে দেখে হাসপাতালের বহির্বিভাগের এক রোগী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় অন্য রোগীরাও তাকে ছেলেধরা সন্দেহে পাকড়াও করে। সন্দেহভাজন ওই নারীর এ অবস্থা দেখে বহির্বিভাগে ঘুরতে থাকা বাকি ৩ নারী ও বাইরে থাকা ৪ নারী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান এবং উদ্ধার করেন। পরে তারা মাহেদ্র গাড়িতে করে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে উপজেলার ডাকবাংলোর সামনে থেকে আটক করে ইউএনও অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সন্দেহভাজন ওই নারীকে এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণধোলাই দেওয়া হয়। তাকে দেখেই স্বর্ণের চেইন হারানো ওই নারী চিৎকার-চেঁচামেচি করেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর মিয়া বলেন, ইউএনও অফিস থেকে ফোন করে থানা পুলিশের কাছে ৮ নারীকে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজখবর নিচ্ছি। তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। না পেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply