বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘মানবসভ্যতার ইতিহাস বলছে, জনগণের শক্তি দিয়ে স্বৈরাচারী শাসকদের পরাজিত করতে হয়। সে জন্য আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। আমাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এমনকি বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী যারা আছেন তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ শক্তির মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে।
বুধবার (২৬ জুন) বিকালে রাজধানীর ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য চক্রান্ত করে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। একযুগ ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চলছে। গত প্রায় একযুগ ধরে যে নির্যাতন চলছে সারা বিশ্বে তা নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি। এরপর দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। দেশের সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে আমরা মনে করি।
ফখরুল বলেন, ‘‘আজকে যারা নির্যাতিত হয়েছেন, তারা বারবার বলছেন আমরা নির্যাতিত হয়েছি, তবে আমরা মানসিকভাবে পরাজিত হইনি। এই মুহূর্তে আমরা চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই হিংস্র শক্তিকে পরাজিত করার।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, রিমান্ডে নামে অপরাধীকে অপরাধ স্বীকারে বাধ্য করা হয়। এমন নির্যাতন বন্ধ না হলে দেশ কোনওদিন সভ্য হবে না।
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীসহ আরও অনেকে। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার ফজলুল করিম মণ্ডল জুয়েল।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply