জামায়াতের নাম পরিবর্তন করে রাজনীতিতে আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নূন্যতম ছাড়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জামায়াত অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলে তার পরে সিদ্ধান্ত হবে। জামায়াত যতই নাম পরিবর্তন করে রাজনীতি করুক আমাদের নূন্যতম ছাড়ের সুযোগ নেই।’
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারে আওয়ামী লীগ আগের মতই শক্ত অবস্থানে রয়েছে। জামায়াতের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কারণ নেই।’
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উন্মুক্ত করেছেন তাহলে কি উপজেলা চেয়ারম্যান পদও উন্মুক্ত করা হবে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দলীয় প্রতীক নাই, কিন্তু উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যাতে করে সেখানে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটা সুযোগ থাকবে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমরা আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছি, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ আমরা উন্মুক্ত করিনি।’
উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোন্দল যাতে বৃদ্ধি পায় এ কৌশলের অংশ হিসাবেই বিএনপি এবার দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে মনে মনঃকলা খেতে পারে। এখানে বিএনপি অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়লে, তাতে বিএনপির লাভটা কি? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? আওয়ামী লীগের যদি নৌকা প্রার্থী না জেতে, তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থী জিতবে? সেও তো আওয়ামী লীগের, তাতে বিএনপির লাভ কি? বিদ্রোহী প্রার্থী হলে সেও তো আওয়ামী লীগের। তারা কোন রেজাল্ট এখানে পাচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে বহিষ্কার বা দলীয় সিদ্ধান্ত শীতিল করার কৌশল আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে আমি কেউ বিদ্রোহী এই কথাটা বলতে পারি না। কাজেই আগে আমরা দেখছি যে, কারা কারা নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর যদি কেউ বিদ্রোহ করে তখনকার বিষয়টা আমরা তখন দেখবো। বিদ্রোহী আছে কি না দেখতে হলে প্রার্থীতা জমা দেওয়া থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতে হবে।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply