মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার ইস্তানবুল থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, জালিমের কারাগারে শহীদ হয়েছেন মুরসি। কারাগারে নিক্ষেপ করে যারা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, সেই জালিমদের ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, মিসরীয়দের মুক্তির জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মুরসি যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা স্মরণ করবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আদালতের এজলাসে তার মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আল্লাহর দরবারে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য রহমত কামনা করছি।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে কারাগারে পাঠানো এবং বিচারের নামে হাজার হাজার মুরসি সমর্থককে মিসরের জান্তা সরকার বন্দি করে রাখলেও, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রাখায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, মোহাম্মদ মুরসি তার হাজার হাজার বিপ্লবী সমর্থককে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ এর প্রতিবাদ করেনি।
এরদোয়ান বলেন, জেনারেল সিসি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ৫০ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। তার দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে পশ্চিমারা সব সময়ই নীরব থেকেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ। তুরস্ককে ফাঁসির আদেশ বাতিলের জন্য তারা বারবার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এমন সময়ে খুনি সিসির আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মিসরে সম্মেলনে অংশ নিয়েছে, যখন দেশটির নাগরিকদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় ইউরোপ মানবাধিকার বিষয়ে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর এমন আচরণকে ভণ্ডামি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, মিসরের জালিম শাসক হয়তো গ্রেফতারকৃত নেতাদের অত্যাচার করে সাময়িক বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস মানুষের মন থেকে মুছে দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন মিসরের একটি আদালতের এজলাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মোহাম্মদ মুরসি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ তার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে তিনি আদালতে বলেছিলেন, তার জীবন হুমকির মুখে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply