রোববার (মে ০৬) দিবাগত রাতে শহরের ঝিলটুলি এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমের ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিক্ষিকার ওই কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি রাজধানীর সূত্রপুরের বানিয়ানগর এলাকার শাহজাহান শেখের মেয়ে এবং ওই এলাকার মোটরপার্টস ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছিলেন। চাকরির সুবাদে শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী এলাকার প্রবাসী নুরুল ইসলামের বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস দুই সন্তানের মতো ছোট ছেলে রিশাদকে (৫) নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। বড় ছেলে তাসিম (১১) ঢাকায় তার বাবার কাছে থাকতেন।
এই দুই সরকারি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত সাজিয়া বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষ খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিনা তাও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ।
সোমবার (০৭ মে) সকালে ঝিলটুলি এলাকা থেকে শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে তাদের মধ্যে পুরানো যোগাযোগ অথবা প্রেমের সম্পর্ক ছিল এই বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওসি জানান, ‘মরদেহ যেভাবে পাওয়া গেছে তাতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে সাজিয়াকে খুন করে ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান আত্মহত্যা করেছেন। আবার এতোবড় ঘটনায় ওই ফ্লাটের দরজা খোলা পাওয়ায় দু’জনকেই খুন করে থাকতে পারে। দু’টি ক্লুই অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন স্বামী শহিদুল ইসলাম ও সাজিয়া ফুপু আফসারি আহম্মেদ।বাড়ির মালিকের ছেলে মাহমুদুল হাসান ডেভিড জানান, নিহত ফারুক হোসেন নিজেকে ফরিদপুরের সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় বদলি হয়ে এসেছেন দাবি করে বাসাটি ভাড়া নেন। একমাস আগে ভাড়া নিলেও বাসায় ওঠেন গত বৃহস্পতিবার। তার বাড়ি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায়।
পুলিশ তদন্তের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করছে বলে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের ফলাফলে জানা যাবে এই জোড়া হত্যাকান্ডের রহস্য।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply