নিয়ামতুল্লাহ্ ইমন,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃআসন্ন রমজান না আসতেই খাদ্য দ্রব্যের বাজার বেশ চড়া। এ অবস্থায় বাজার সহনশীল রাখতে টিসিবি’র ১১ ডিলারের মধ্যে মাত্র ২ জনই ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছেন ৫টি খাদ্যদ্রব্য। জানা গেছে, আগামী রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকার মধ্যে চিনি, ছোলাবুট, মসুর ডাল, বেসন, রসুন, পেয়াজ, মাছ, মাংশসহ সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দফায় দফায়, বর্তমানে জেলার বাজারগুলোতে খুচরো মূল্যে চিনি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মসুর ডাল দেশী ৯০/৯৫ টাকা, বিদেশী ৫৫-৬৫ টাকা, রসুন ৭০/৭২ টাকা, পেয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, জাত ভেদে আলু ১৫-২০ টাকা, খাসির মাংশ ৭৫০ টাকা, গরুর মাংশ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ রোজার আগে এসব দ্রব্য মূল্যের দাম ছিল বেশ কম। জেলা শহরের মাছুয়া বাজারের মাংশ ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন, কালাই উপজেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড বাজারের মুদি দোকানী তানভীর হোসেন, মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুন নূর এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, তারা বেশী দামে পাইকারী দরে কেনেন বলে বেশী দামেই বিক্রি করেন। তাদের আগে যা লাভ হত, এখনো তাই হচ্ছে, যদি লাভ হয় তা করেন মূল মহাজানরাই। আগামী রমজানকে সামনে রেখে বাজার মূল্য সহনশীল রাখতে সরকার টিসিবির মাধ্যমে বাজারে কেজি প্রতি চিনি ৪৭ টাকা, ছোলাবুট ৬০ টাকা, মসুর ডাল ৪৪ টাকা, খেজুর ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অতি প্রয়োজনীয় টিসিবি’র সরবরাহকৃত এই ৫ ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে জেলা শহরে রয়েছে মাত্র ২টি ভ্রাম্যমান দোকান। ট্রাকে করে এসব সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় টিসিবি’র ডিলার ১১ জন থাকলেও লাভ কম, লোকসানের ঝুঁকি ও প্ররিশ্রম বেশী হওয়ায় ২ জন ডিলার ছাড়া আর কেউ টিসিবি পণ্য তুলছেন না।
এ ব্যাপারে জেলা টিসিবি ডিলার সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, ‘লাভ কম আর ঝুঁকি বেশী থাকায় এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য সরবারাহ করছি। রাজশাহী অফিস থেকে এক সাথে ৩ দিনের সামগ্রী দেওয়া হয়। অন্ততঃ ৭দিনের পণ্য সামগ্রী এক সাথে দেওয়া হলে পরিবহন খরচ সাশ্রয় হত। এ ব্যবস্থা করলে সকল ডিলারই মালামাল তুলতে পারতেন। আর তা সম্ভব হলে এক দিকে টিসিবি ডিলাররা কিছুটা লাভের মুখ দেখতেন, অন্যদিকে ক্রেতা সাধারনরাও উপকৃত হতেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply