গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা থেকে মাত্র একশ’ গজ দূরে স্টেশন রোড এলাকার নিউ লাইফ হাসপাতালের পেছনের একটি বাড়িতে দিনেদুপুরে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে ক্যাপ্টেন (অব.) এসকে আব্দুল লতিফের ভাড়া বাসায় এ ডাকাতি হয়।
দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে সেনা কর্মকর্তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মিরাজকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সব লুটে নেয়।
তবে পুলিশ বলছে, ‘ঘটনার সময় চারজন দুর্বৃত্তের উপস্থিতি থাকায় বিষয়টি ডাকাতি নয়, বরং একে চুরি বলা হয়।’
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ‘নিউ লাইফ হাসপাতালের পেছনে নুরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ক্যাপ্টেন (অব.) এসকে আব্দুল লতিফ সপরিবারে বাস করে আসছেন। গতকাল বিকালে চারটার দিকে চারজন লোক এসে দরজার কলিং বেল চাপতে থাকে। ভেতর থেকে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আদালত থেকে এসেছে বলে জানায়। এরপর ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল লতিফের ছেলে মিরাজ হোসেন দরজা খুলে দিলে ভেতরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা কোর্ট ফাইলে করে আনা ধারালো অস্ত্র মিরাজের গলায় ধরে। পরে গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে এবং মুখে স্কচটেপ দিয়ে আটকিয়ে দেয়। পরে বাসার আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা, চার ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইলসেট ও কম্পিউটার সামগ্রী লুটে নেয়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাদের নিজেদের শার্ট ব্যাগে ভরে সেনা কর্মকর্তার ছেলে মিরাজের শার্ট ও গেঞ্জি পড়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়। পরে মিরাজ বারান্দায় গিয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার সময় ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল লতিফ উত্তরায় তার কর্মস্থল পাওয়ারটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় এবং তার স্ত্রী গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘থানায় ডাকাতির একটি অভিযোগ দিয়েছি। ওসি প্রথমে ডাকাতির অভিযোগ নিতে চায়নি পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে অভিযোগ নিয়েছে।’
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার (ওসি)কামাল হোসেন বলেন, ‘তিনজনে মিলে কি ডাকাতি হয় নাকি? কোনটা ডাকাতি আর কোনটা চুরি এটা শিখে তারপর সাংবাদিকতা কইরেন। আর থানায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।’
অন্যদিকে টঙ্গী পূর্ব থানার ডিউটি অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত এএসআই সাইদুর রহমান বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ওসি (অপারেশন) স্যার সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply