অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ছয় শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া অনশন এখনো অব্যাহত হয়েছে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু নির্বাচন। এতে ২৫টি পদের মধ্যে দুটি ছাড়া সব পদে জয় পায় ছাত্রলীগ। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটের দিনই নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল। নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে ভোটের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসে চার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দুইজন।
অনশনকারীদের দাবি, শিক্ষকদের সহযোগিতায় ডাকসু ও হল সংসদে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তারা আবারও নির্বাচন চান।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ গিয়ে আশ্বস্ত না করলে তারা অনশন থেকে সরবেন না বলে জানান অনশনে অংশ নেয়া মো. মাঈন উদ্দিন।
অনশনে বসা ছয় শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাওহীদ তানজিম, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য মণ্ডল, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি হোসেন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া তামান্না। এর মধ্যে তাওহীদ তানজিম ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। শোয়েব মাহমুদ, অনিন্দ্য মণ্ডল ও মাইন উদ্দিন হল সংসদের বিভিন্ন পদে প্রার্থী ছিলেন।
অনশনকারীরা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কলঙ্কিত হয়েছে। নির্বাচনের দিন যেভাবে ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক চেতনার বিরোধী। তাই তারা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তারা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply