ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের ল্যাব-টেস্ট মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির মাংসে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম, কলিজায়-৬১২ মাইক্রোগ্রাম, এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে।
WHO-এর গাইডলাইন অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনশীয় মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম।
ফার্মের মুরগির ডিমেও আছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত টেনারির বর্জ্য ব্যবহার হয় যা পুরান ঢাকার টেনারিগুলো থেকে আসে। হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞাও আছে এই ক্রোমিয়াম মেশানো নিয়ে।
চাষের মাছগুলোতে আছে উচ্চমাত্রার নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক। ক্রোমিয়াম, নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক ১ম সারির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্যামিক্যাল। আর্সেনিক দিয়ে তো ইঁদুর মারার বিষ বানানো হয়।
এখন বলুন, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যোগান দেবে কোন খাবারটি?
গত সপ্তাহে মলা-ঢেলা মাছ কিনলাম ৪৫০ টাকা কেজি দরে। নদী ও সামুদ্রিক মাছের দাম আকাশচুম্বী! সহজলভ্য তেলাপিয়া, পাংগাস ও অন্যান্য মাছের শরীর নাইট্রোফোরন, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিকে ঠাসা, কারণ এই মাছগুলো ক্ষতিকর মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত সেচের পানিতে চাষ হয় ও চাষে টেনারির বর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত ফিড ব্যবহার করা হয়।
কোরবানির পশুর চামড়ার পশম পুড়তে ব্যবহৃত হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত ক্যামিক্যাল। চামড়া প্রসেজের পর উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত হাজার-হাজার টন বর্জ্য পোল্ট্রি ও মাছের ফিড বানাতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বো-হাইড্রেটের পরেই শরীরের জন্য বেশি দরকার আমিষ। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে পাবে নির্মল আমিষ?
এসব খাবার বর্জন কতটা টেকসই সমাধান হতেপারে?
কেবল বোবা কান্নায় বুকটা ভার হয়ে থাকে!
এ দেশের ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার ও কিডনি রোগী। হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে অল্প বয়সী তরুণ-তরুণী!
কেউ কি বলতে পারেন, বিশ্বের কোন দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা এমন ধরনের নৈরাজ্য করার সুযোগ পায়? কোন দেশের শিক্ষিত সচেতন সমাজ এ ধরনের নৈরাজ্য বছরের পর বছর সহ্য করে যায়?
কেন অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হয় না? আমরা চাই দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি হোক।মানুষ চাষ করা মাছ-মাংস খেতে নিশ্চিন্তে আমিষের অভাব পূরণ করার সুযোগ পাক।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি//আমিরুল ইসলাম//নাটোর প্রতিনিধি
Leave a Reply