বাংলাদেশে এখনো তুলার হাইব্রিড বীজ ব্যবহারের প্রচলন পুরোপুরি শুরু হয়নি। সচেতনভাবে এর ব্যবহার বাড়ানো গেলে দেশে তুলা আমদানির নির্ভরতা কমবে বলে তুলা উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, আঁশতুলার উৎপাদন বাড়াতে উন্নত মানের বীজের বিকল্প নেই। সময় ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড বীজ চাষাবাদের মাধ্যমে বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এগিয়ে চলেছে। হাইব্রিড বীজের জনপ্রিয়তাও বেশি। বাংলাদেশে তুলার হাইব্রিড বীজ উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশে এই বীজ ব্যবহারের পরিমাণ খুবই কম। সবেমাত্র বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি নির্ভর কিছু হাইব্রিড বীজের আবাদ শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম সীড এবং লাল তীর সীড লিমিটেড তুলার কিছু হাইব্রিড বীজ আমদানি করেছে। আমাদের আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অধিদপ্তর আমদানি নির্ভর এই তুলা বীজের নিবন্ধন দিয়েছে। সুপ্রীম সীড কোম্পানি লিমিটেড হাইব্রিড তুলা রুপালী-১ এবং লাল তীর সীড লিমিটেড ডি এস ১,২ ও ৩ নামে নিবন্ধিত এই বীজ বাজারজাত করছে। যা মাঠ পর্যায়ে আবাদ হচ্ছে। এছাড়া এসিআই কোম্পানিও হাইব্রিড জাতের তুলা বীজ উৎপাদন করে চাষি পর্যায়ে বিতরণ করছে।
হাইব্রিড বীজতুলার ফলন প্রতি হেক্টর জমিতে ২.৫ মেট্রিক টন থেকে ৩.০ মেট্রিক টন। এর জীবনকাল ১৬০ থেকে ১৭০ দিন। পক্ষান্তরে স্থানীয় উচ্চফলনশীল বীজতুলার ফলন প্রতি হেক্টরে ২.০ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন। ১৭০ থেকে ১৮০ দিনে এই বীজতুলা ঘরে তোলা যায়। তবে কেজি প্রতি হাইব্রিড বীজতুলার দাম ২৪০০ টাকা। অথচ স্থানীয় জাতের বীজতুলা মাত্র ২৫ টাকা দামে বিক্রি হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / কাউসার।
Leave a Reply