দেশবাসীর প্রার্থনা আর চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাতের এই চলে যাওয়ার দায় অবশ্যই স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের উপর বর্তায় বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।
সাম্প্রতিক বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল যখন নুসরাতের মৃত্যুর হৃদয় বিদারক ঘটনা পুরো দেশবাসীকে জানান, আমি আমার নিজের কথা বলতে পারি, শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছি মুহূর্তের মধ্যে। এই মৃত্যুকে কেউই মানতে পারছেন না। এই মৃত্যু মানা যায় না।
তিনি আরও বলেন, সমাজের ঘৃণ্য এবং অশুভ শক্তির শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত। অধ্যক্ষ সিরাজের বিকৃত যৌন মানসিকতার শিকার প্রতিবাদী নুসরাত। আমাকে যদি এক কথায় বলতে বলা হয়, এখানে, স্থানীয় রাজনীতি, পুলিশ, প্রশাসন সকলের দায় আছে শিক্ষার্থী নুসরাত হত্যাকাণ্ডের। তাদের কাছে মানবিকতা, শুভবুদ্ধি, ধর্ম কোনটাই মুখ্য হয়ে ওঠেনি। মুখ্য হয়ে উঠেছে লালসা। মুখ্য হয়ে উঠেছে টাকা। মুখ্য হয়ে উঠেছে রাজনীতি। আর সবকিছুর কেন্দ্রীভূত ফলাফল একজন নুসরাতের চলে যাওয়া।
তিনি বলেন, নুসরাতকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। কোনও মানবিক আচরণ তার সাথে করেনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। বরং সে (নুসরাত) বিচার চাওয়ায় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে আরও একবার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে। আমি দৃঢ় ভাষায় বলতে চাই, বিচার চাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কষ্ট হয় এরকম প্রতিবাদী নুসরাতদের পুড়িয়ে হত্যার কাহিনি জেনে।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধু ফেনীর ঘটনা নয়, এটা দেশের খন্ড ছবি। এই ছবির মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে, নারীদের প্রতি সমাজের একটি অংশ আজও যৌন লালসার জন্য উদগ্রীব। এই পিশাচদের কোন যোগ্যতা নেই শিক্ষকতার মত মহান পেশার সাথে থাকার। নুসরাত হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সকলকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য সরাকাররে কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি। তবে আশার আলো হল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই (নুসরাত) হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply