কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের শান্তির- সুখ-সমৃদ্ধির জন্য নিজ উদ্দ্যেগেই সবকিছু করেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দৌলতপুরে যে উন্নয়ন, শান্তি-সমৃদ্ধি অাসে তা অাগামী ৪ বছরে পূরণ হবে ইনশাল্লাহ্। ৭৫ পরবর্তী স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুরের কুখ্যাত রাজাকার শাহ্ অাজিজ সাহেব। ৭১ সালের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর সহ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাজাকার শাহ্ অাজিজের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর-বাড়ী জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তন্মধ্যে অন্যতম কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর অাসনের মাননীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ সাহেবের বাপ-দাদার বশত ভিটা, ঘর-বাড়ী নিঃচিহ্ন করে দিয়েছিল। অপরাধ একটায় তাঁর বাবা শিক্ষা বিস্তারের অনালোকিত মানুষ হিসেবে খ্যাত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মোহাঃ শাজাহান স্যার মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শিকারপুরে শরনার্থী শিবিরে শিক্ষা প্রদান করা ও মুক্তিযুদ্ধের অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের দিক নির্দেশনায় ব্রত ছিলেন। তাঁর মেজ চাচা জনাব অা.ফ.ম অাবদুল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। একমাত্র ফুপা ডাঃ জমির উদ্দীন শরণার্থী শিবিরে ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর সরওয়ার জাহানের পরিবার ইচ্ছে করলে কুখ্যাত
রাজাকার শাহ্ অাজিজগংদের বাড়ি-ঘর জালিয়ে পুড়িয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু তা দেননি। স্বাধীন দেশে শান্তি চেয়েছেন এবং অাইনানুযায়ী রাজাকারদের বিচার চেয়েছেন। ৭৫ এ-র ১৫ অাগষ্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজাকারদের বিচার বানচাল করে রাষ্ট্র্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করেন জেনারেল খুনী জিয়াউর রহমান। খুনী জিয়া রাজাকার শাহ অাজিজ সাহেবকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। তারা অাবার ৭১ এ-র চেয়েও ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের উপর। অপরদিকে সরওয়ার জাহান বাদশাহ ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে, শান্তিপূর্ণ পথে এতদাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক শক্তি গুলোকে সুসংগঠিত করে তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন। পরবর্তী বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ দেশে রাজনীতি শুরু করলে তিঁনি জননেত্রীর অন্যতম সহচর হন। স্বৈরাচার অান্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। কিন্তু অান্দোলনে অান্দোলন কারীদের পক্ষ থেকে জনসাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অান্দোলন, সংগ্রাম ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের, সাধারন খেটে খাওয়া মুক্তির ও শান্তির। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা পূর্বাঞ্চলের পার্বত্যের অশান্তি অার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সন্ত্রাসী জনপদ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অশান্তির জনপদে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন, অার সন্ত্রাসীদের অাত্মসমর্পনের মাধ্যমে সন্ত্রাসমুক্ত করে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে
এনেছেন। এ-ই শান্তি বিনির্মানের জন্য সরওয়ার জাহান বাদশাহর অনেক ভূমিকা ছিল। কিন্তু বিধিবাম, ২০০১ সালে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে সারাদেশে বোমা-হামলা, অাগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে অশান্তি এনেছেন বিধায় তারা অাজ বিলুপ্তির পথে। কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর অাসনটি ভৌগলিক ভাবে অনেক বড়ো এবং দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি চরাঞ্চল, যাদের বলে চৈরী অারেকটি ডেঙ্গাঞ্চল, তাদের বলে ডেঙ্গাইলি। এদের মাঝে কিছু ওপার বাংলা থেকে অাগত লোকজন অাছে তাদের বলে রিফুইজি। চৈরী ও ডেঙ্গাইলীদের মাঝখানে বসে গুটি কয়েক প্রভাবশালী রিফুজি ও রাজাকারদের কতিপয় ক্ষমতাবান নেতাদের যোগসাজসে ও বুদ্ধিতে দৌলতপুরের জনগনকে জিম্মি করে এযাবৎকাল রাজনৈতিক ও সামাজিক ফাইদা লুটে অাসছে। দৌলতপুর উপজেলাটি কৃষিপ্রধান এবং অত্যন্ত প্রতন্ত অঞ্চল। প্রত্যন্ত অঞ্চল হবার ফলে বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক ও
অসাবধনতায় অাগুনে অত্র অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে গেছে। বন্যায় মানুষের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নিয়েছে যেমন, তেমনি অাগুনে পাড়ার পর পাড়া, গ্রামের পর গ্রাম অগ্নিকান্ডে নিঃশেষ হয়েছে। এ্যাডঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহচর হওয়ার কারণে ১০০ কোটি টাকার নদী ভাঙ্গন বাধ নির্মান করে পদ্মার কুড়াল গ্রাস থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করেছেন। দেশ স্বাধীনের পরে এযাবৎকালের ইতিহাসে অাগুন থেকে রক্ষার জন্য ফায়ার স্টেশন হয়েছিল না, কিন্তু বর্তমান সাংসদ এ উপজেলায় দুইটি ফায়ার স্টেশনের ব্যবস্থা করেছেন। কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর অাসন থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় পার্টী থেকে একাধিকবার মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদ হয়েও বন্যা থেকে, অাগুনের মহামারি থেকে ও সামাজিক সুরক্ষা ও শান্তির জন্য কেউ
ব্যবস্থা নেননি। কারণ তাদের দায়িত্ববোধের অনেক অভাব ছিল যেমন, তেমনি দেশপ্রমের ঘাটতি অনেক ছিল। সেকারণে স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর বাসীর ভাগ্যে জোটেনি সামাজিক নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তে ঘুমানো। এযাবৎ কাল যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধ করেছেন, ফায়দা লুটেছেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দৌলতপুরের মানুষ শান্তিতে ঘরে ঘুমাতে পারছে। নেই কোন সামাজিক গন্ডগোল, করতে হয়না সকাল বিকেল শালিস, শুনতে হয় কারো নালিশ, হতে হয়ে না অার প্রশাসন কর্তৃক হয়রানি। তবে সমস্যা হয়েছে কিছু দালালের। দৌলতপুর উপজেলার পাড়ার পরে পাড়া, গ্রামের পরে গ্রাম মানুষ বলে কামরা মুক্তি পেয়েছি, শান্তি পেয়েছি। জনসাধারণ গর্ব করে বলে অামাদের এম.পি শাজাহান স্যারের ছেলে বাদশাহ্ ভাই, অামাদের কোন সমস্যা নাই। অামরা শান্তিতে অাছি, শান্তি পাচ্ছি, শান্তিতে থাকবো। তাই দৌলতপুরের শান্তি-সমৃদ্ধির তারেক নাম এ্যাডঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ (এম.পি)
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply