প্রেমের বিয়ে। স্বপ্না আর হাসানের আড়াই মাসের সংসার বেশ মধুরই ছিল। এই প্রেমের ইতি টানতে হলো প্রাণ দিয়ে। একে অপরের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করলেন স্বপ্না-হাসান দম্পতি। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, স্বপ্নার (১৫) বাবার বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ায়। আর হাসানের (১৯) বাড়ি গুরুদাসপুরের গোপিনাথপুর গ্রামে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ওদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছরের প্রেমের একপর্যায়ে হাসানের সাথে বাবার বাড়ি ছাড়েন স্বপ্না। আড়াই মাস আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পরিবারের পক্ষ তাদের বিয়ে মেনে নেন।
স্বপ্না-হাসানের পরিবার জানায়, ভালই কাটছিল তাদের সংসার জীবন। কি কারণে স্বপ্না-হাসান আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। হাসানের দাদা আজগর আলী জানান, তিনি শনিবার ভোরে নামাজের জন্য বের হলে মোবাইলে স্বপ্নার কথোপকথন শুনতে পান। একপর্যায়ে তারা ঘুরে ঢুকে দেখেন স্বপ্না আর হাসান ছটফট করছেন। জিজ্ঞেস করে জানা যায় ওরা কিটনাশক ট্যাবলেট খেয়েছেন। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা খুব দুঃখজনক। তবে ওই দম্পতি রাজশাহী মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করায় সংশ্লিষ্ট থানায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply