হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী করীম (সাঃ) যোহহের নামায পাঁচ রাকাত আদায় করলেন। তখন সাহাবাগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাযের মধ্যে কি কোন রাকাত বাড়ানো হয়েছে? তখন নবী করীম (সাঃ) বললেন, তা কি? সাহাবায়েকেরাম আরজ করলেন, আপনিতো পাঁচ রাকাত নামায আদায় করেছেন। তখনই রাসূল পাক (সাঃ) পা মোবারক মোড়ায়ে কিবলার দিকে মুখ ফিরালেন এবং দু’বার সিজদা করলেন। অর্থাৎ সিজাদায়ে সহু আদায় করলেন।
থু থু ও কফ মসজিদে না ফেলা:
হাদীস: হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী করীম (সাঃ) মসজিদে নববীতে কিবলার দিকে পাতলা কফ বা নাকের সর্দি দেখতে পেলেন। তা রাসূলেপাক (সাঃ) এর কাছে অত্যন্ত খারাপ মনে হল, এমন কি রাসূলেপাক (সাঃ) এর চেহারা মোবারক পর্যন্ত এর লক্ষণ দেখা গেল।
অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) নিজে উঠে গিয়ে তার হাত মোবারকের দ্বারা তা মাটিতে পুঁতে রাখলেন। তারপর বললেন, তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়াবে তখন সে একান্তভাবে তার প্রভুর সাথেই কথা বলতে থাকে বা বলতেছে তার প্রভু তখন তার এবং কিবলার মধ্যে বিদ্যমান থাকেন।
সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কিবলার দিকে থু থু ও কফ ইত্যাদি না ফেলে। যদি একান্তই কফ বা থু থু ইত্যাদি না ফেলে। যদি একান্তই কফ বা থু থু ইত্যাদি ফেলতে হয়, তা হলে বাম দিকে অথবা তার পায়ের নিচের দিকে ফেলতে হবে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজের চাদর মোবারকের এক পাশ হাতে নিলেন এবং উহাতে থু থু ফেলবেন তোমরা এরূপ করবে।
থু থু নামাযে থাকা অবস্থায় বাম দিকে ফেলবে:
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) নবী করীম (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন সে যেন তার সামনের দিকে থু থু, কফ ইত্যাদি না ফেলে। যেহেতু সে যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের প্রভুর সাথে মনের গোপন কথা বলতে থাকে। সে যেন তার ডান দিকেও থু থু ইত্যাদি না ফেলে কেননা তার ডান দিকে ফেরেশতা থাকে। বরং সে যেন তার বাম দিকে অথবা পায়ের নিচে থু থু ইত্যাদি ফেলে। তারপর তা মাটিতে পুতে রাখবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply