গতমাসে সরকারী চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবী নিয়ে রাজপথে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি তুলেছিল। কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের দাবিও জানিয়েছিল তারা।
কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বলেন, “বারবার এই আন্দোলন ঝামেলা মিটাবার জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল; পরিষ্কার কথা; আমি এটাই মনে করি, সেটা হল বাতিল।”
তখন শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেও এর কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শাহবাগ মোড় আটকে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে শতাধিক আন্দোলনকারী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
শাহবাগ মোড় আটকে থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, এলিফেন্ট রোড, মৎস ভবন, বাংলা মোটর এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, “আমরা ধৈর্য্য ধরে আছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।”
কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও ওই দিন বলেন সরকারপ্রধান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply