ভারতে ঘটে গেলো মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। নির্মানাধীন এক ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আঠারো জনের।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে এই ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করা হয়েছে। তবে এখনও অর্ধশতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন লুদিয়ানা ফ্লাইওভার ধসে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফ্লাইওভারের দুটি পিলার একসঙ্গে ভেঙে পড়লে বিশাল আকারের কংক্রিট স্ল্যাব মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং সেটির নিচে থাকা যানবাহন ও মানুষ চাপা পড়ে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফ-এর নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন ডজন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। এদিকে আটটি ক্রেনের সাহায্যে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ২০০ টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ক্রেন চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস কাটার ব্যবহার করে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কারণ আটকা পড়াদের উদ্ধারই অগ্রাধিকার বলে জানাচ্ছেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, ধ্বংসস্তুপের নিচে চারটি গাড়ি, একটি অটোরিকশা ও একটি মিনিবাস চাপা পড়েছে।
উত্তরপ্রদেশর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ফ্লাইওভার ধসে হতাহতের ঘটনায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কিমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। উদ্ধারে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনাও করেন তিনি।
নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান এই দূর্ঘটনার দায়ভার এড়াতে পারে না। একটি নির্মানাধীন ফ্লাইওভার ভেঙে পড়বার কারন, অবশ্যই তাদের গাফলতি কিংবা নিম্নমানের প্রযুক্তি ও পণ্য ব্যবহার।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply