জাহেদুল ইসলাম মিরাজ,বাঁশখালী (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি:বাঙালির মধুমাস জ্যৈষ্ঠ এসে যাচ্ছে। বাহারি রঙের ফলে ছেয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। গ্রামের হাটবাজারে এখন মিষ্টি ফলের গন্ধ। প্রচণ্ড গরমে রসাল ফল আপনাকে শুধু চাঙাই করবে না, নিমেষেই মনকে ভালো করে দেবে। ফল প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার। ফল পছন্দ করে না, এমন মানুষ নেই বললেই চলে।সেই হিসাবে বাঁশখালী উপজেলায় কালীপুরের লিচু যা বাঁশখালীর এক ঐতিহ্যের নাম। মৌসুমের একবারেই প্রথম দিকেই পাওয়া যাচ্ছে কালীপুরের লিচু।
কালীপুরের লিচু মনে এক সু সাধু ফলের নাম।শীঘ্রই বাজারে আসছে বলে বাঁশখালীর ঐতিয্যবাহি কালীপুরের রসালু লিচুর কদর এখন দামে চাওড়া। কালীপুর এর বিখ্যাত সু সাধু লিচু বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার দারে দারে এবং বাজার ঘাটে।গরমে এরকম ফলের আমেজে কিছুটা হলেও মনে প্রানে প্রাশান্তি এনে দেচ্ছে ক্রেতার মনে।তাছাড়া বৈলছড়ি, গুনাগরী,পুকুরিয়া, জলদি, জঙ্গল পাহাড় এলাকায় একই সঙ্গে লিচুর চাষ হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। চট্রগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশখালীর লিচুর আলাদা কদর রয়েছে। কালীপরের লিচুর জন্য কালীপুর বিখ্যাত হয়ে রয়েছে বহু বছর ধরে। সাধ্যের মধ্যে যে যার মতো ফল কিনে মনের তৃপ্তি মেটাচ্ছে।
বাঁশখালীর কালীপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দোকানিরা তাদের বিখ্যাত লিচু দিয়ে ফলের দোকান সাজিয়ে বসেছেন। যার কারনে বহু ক্রেতা দুর দুরান্ত থেকে এসে কালীপুরের লিচু ক্রয় করছেন যাতে করে এই ফলের আরো কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে।কারণ এখনো বাইরের জেলার লিচু আসতে দেখা যায় নি।বাঁশখালীর কালীপুরের লিচু বিভিন্ন এলাকায় এখন পাইকারি খুচরা সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রচুর দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁশখালীর জনপ্রিয় লিচু। বাঁশখালীর পরিবারের কর্তারা এখন খুবই খুশি নিজের উপজেলায় এমন সু-মধুর লিচুর পাওয়ায়।লিচুর ঘ্রাণে ভরে ওঠেছে প্রায় ফলের আড়তগুলো। এই লিচু বাগানকে নিয়ে কালীপুরের বিশেষ নাম।
আগ্রীম মৌসুমি ফল আসাতে কালীপুরের লিচুর রসাল ফল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছে অনেকেই। যেন এখন মনে হচ্ছে কালীপুর বাংলার প্রকৃতির রসের হাঁড়ি নিয়ে সেজেছে।এই রসাল লিচু দেখে লোভ সামলানো দায়। ছোট বড় সাইজের লিচুর দাম চড়া হলেও ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। কারণ, বছরের এই সময়টাতে কেবল এমন রসাল ফলের স্বাদ নেয়া যায়। ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখে আনন্দ লণীয়। কারণ, বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি ফল বিক্রি হয়। তাছাড়া কালীপুরের লিচু চাষি থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন এবারে ব্যাপক লিচু উৎপাদন হয়েছে বলে তারা জানান। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিসারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এই উপজেলায় প্রায় ৫৫০-৬৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply