রুবেল সরদার, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: বাবুগঞ্জ উপজেলা ও থানা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন কেদারপুর। দক্ষীনে সুগন্ধা, পূর্বে আড়িয়াল খাঁ ও উত্তরে সন্ধা নদীর ভাঙনের গ্রাসে আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো। দিনে রাতে কখন কোথায় ভাঙন গ্রাস করে তা জানে না কেউ। সন্ধা,সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদ নদী দ্বারা বেষ্টিত ইউনিয়নটি ত্রিমুখী ভাঙনের কবলে। গত তিন দিনে
কেদারপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা আকস্মিক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইউনিয়নটির মোল্লার হাট ও ভাঙ্গার মুখ নামক এলাকা। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধার মধ্যে কয়েক দফা ভেঙ্গেছে মোল্লার হাট এলাকা। সেখানে বাবুল রাঢ়ী, তারেক রাঢ়ী, সেলিম ঘরামী,জাকির মাঝী ও হাসন ভানুর বসতবাড়ি ফলদ বৃক্ষসহ কয়েক একর জমি আকস্মিক দেবে গেছে। ঝুকিতে রয়েছে পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন সেল্টার, মসজিদ,মাদ্রাসা কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপণা। বুধবার গভীর রাতে ঘটনা স্থল
পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত জাহান খান। ওই রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী নিজ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে জরুরী খাবার বিতরণ করেন। গতকাল বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুল ইসলাম, ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আঃ লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হোসেন নানা। তারা গৃহহারা ৫টি পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্থ ১৮টি পরিবারের মাঝে গৃহ প্রদান ও আর্থীক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে জরুরী ত্রান হিসেবে বিভিন্ন
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত)নুসরাত জাহান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান, ইউপি চেয়াম্যান নূরে আলম বেপারী,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আমীর হোসেন মৃধা, কেদারপুর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মাসুম মৃধা, সেলিম জোমাদ্দার, ইউপি সদস্য লাভলু,লালমতি বেগম, আজিজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী এবং এলাকার সর্বস্তরের শতশত সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply