সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক ঘেরের মাছ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন গ্রাম দুটির বেশকিছু ঘরবাড়ির মানুষ।
সোমবার ভোরে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ভেসে যায় শতাধিক ঘেরের মাছ। ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি।
স্থানীয় পরিমল মন্ডল জানান, ভোরে তার বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ ধসে নদীগর্ভে চলে যায়। এসময় প্রবল বেগে পানি ঢুকে ঘের অধ্যুষিত কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। কিছুক্ষণ পর ভাটা শুরু হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও দুপুরের জোয়ারে পানি ঢুকলে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সকালে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও জোয়ার শুরু হওয়ায় তা নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খোলপেটুয়া নদীর বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কাজ হয় না। বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসে না, কাজ হওয়া তো দূরের কথা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply