ফের পাল্টে গিয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সমীকরণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হার মাশরাফি বিন মুর্তজা-সাকিব আল হাসানদের জন্য সেমিফাইনালে খেলার পথটা কঠিন করে তুলেছে। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে মঙ্গলবার ভারতকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। এরপর চেয়ে থাকতে হবে পাকিস্তানের ম্যাচের দিকে। কারণ ম্যাচটি বিশ্বকাপের অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল হিসেবে গণ্য হবে। রাত পোহালেই আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে টাইগারদের।
এই বছর তো বটেই সম্ভবত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ম্যাচ। একে তো প্রতিপক্ষ ভারত তার ওপর এই ম্যাচ জিতলে টিকে থাকবে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। হারলেই সব শেষ। দেশবাসীকে উপহার দেওয়ার জন্য মাশরাফি বিন মতুর্জা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের জন্য এর চেয়ে বড় উপলক্ষ বোধ হয় আর নেই। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি কণ্ঠে ঝড়ল জয়ের আত্মবিশ্বাস, সেই সাথে ছিল প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মানও।
বাংলাদেশের জন্য এটি ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। জিতলে টিকে থাকবে শেষ চারের আশা, হারলেই নিশ্চিত বিদায়। শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে হলেও সেটা হবে কেবল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা হবে অঘোষিত সেমিফাইনাল।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আর কোনো দিকে তাকাতে চান না মাশরাফি। ভাালো খেলেই জয় ছিনিয়ে আনকে বদ্ধ পরিকর তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘ভালো খেলেই আমরা এই পর্যন্ত এসেছি। এই ধরণের টুর্নামেন্টে অন্যের দিকে তাকিয়ে লাভ হয় না। এই ম্যাচে হারলে আমাদের বিশ্বকাপ শেষ, কাল ভারত জিতলে হয়তো ভিন্ন চিত্র হতো তবে ভালো খেলে জিতলে সেটা বেশি আনন্দের। ভালো খেলেই জিততে চাই আমরা।’
ভারতের বিপক্ষে নামার আগে তেমন কোনো চাপ অনুভব করছেন না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটি ম্যাচই চাপের। সামাজিক মাধ্যমে অনেক কথাই চলে। সেগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো। ভালো খেলে জিতলে সেটাই হবে বড় অর্জন। আমাদের ফোকাসটা এখন সেদিকেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply