রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের যে ঘটনা ঘটেছে, তার ‘দায় স্বীকার’ করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। রোববার রাতের ওই বিস্ফোরণে একজন নারী সহকারী উপপরিদর্শক ও একজন রিকশাচালক আহত হন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, আইএস ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। সাইট ইনটেল গ্রুপের অ্যাকাউন্ট থেকে এ দায় স্বীকারের কথা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে তিন পুলিশ আহত হওয়ার দায়ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপ স্বীকার করেছিল। পুলিশ তখন আইএসের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিল।
এদিকে মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরিত বোমাটি সাধারণ ককটেল থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে শক্তিশালী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত: রোববার রাত ৯টায় মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া আহত হন।
ট্রাফিক পুলিশের পূর্ব বিভাগের (সবুজবাগ) সার্জেন্ট এনামুল হক জানান, মালিবাগ মোড়ে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশের গাড়ির পাশে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে পাশে থাকা এএসআই রাশেদা ও রিকশাচালক আহত হন। রাশেদার বাঁ পায়ে ও রিকশাচালকের মাথায় আঘাত লেগেছে।
আহত রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় একটি ককটেল তার পাশেই বিস্ফোরিত হয়। এতে তার পায়ে আঘাত লাগে। পাশে পুলিশের গাড়ির পেছনে কিছুটা আগুন ধরে যায়।
এদিকে মালিবাগে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। আগুন ধরে যাওয়া পুলিশের গাড়ির চালক কনস্টেবল শফিক বলেন, ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা কী যেন ছুড়ে মারে। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশের দালানের গ্লাসও ভেঙে গেছে।
আহত রিকশাচালক লাল মিয়া জানান, তার বাসা তেজকুনিপাড়ায়। রিকশা নিয়ে মালিবাগ মোড়ে বসেছিলেন। এমন সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। তবে কাউকে দেখেননি তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply