সদ্য ই তৃতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেই আনন্দ আরো বাড়িয়ে তুললেন চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির বিপক্ষে জোড়া গোল করে। গতকাল রাতে বার্সার ঘরের মাঠ ন্যূ ক্যাম্পে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি কে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলে স্পেনের কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা।
২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমি ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হেরে যায় বার্সা। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বাজে ভাবে পেলান্টি মিস করেছিলেন লিওনেল মেসি। সেই বার চেলসিও ঘরে তুলেছিল তাদের প্রথম ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।
গতকাল রাতে সেই হারের প্রতিশোধ নিলেন মেসি ও বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে চেলসি কে হারিয়ে বার্সা উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ভালো কাটেনি মেসির। গতকালের দুই গোল মিলিয়ে তার মোট গোল ৬ অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১২ গোল করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে আছেন। তবে গতকালের ম্যাচে লিওনেল মেসির অর্জনের খাতায় লেখা হয়ে হয়েছে অনেক কিছু। ২ মিনিট ৮ সেকেন্ডে করা গোল টি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দ্রুততম গোল। গতকালের ম্যাচেই ক্রিস্টিয়ানে রোনালদোর পর দ্বিতীয় খেলোয়ার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম গোল করার গৌরব অর্জন করলেন।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ই মেসি তার ক্যারিয়ারে চেলসির বিপক্ষে প্রথম গোল করেন মেসি। প্রথম লেগে এক গোল করার পর গতকাল আন্তোনিও কন্তের শিষ্যরা বল পায়ে ছোঁয়া লাগানোর আগে ই মেসির দ্রুততম গোলে পিছিয়ে পরে ১-০ গোলে। এরপর মেসি গোল করিয়েছেন এবং নিজে করেছেন।
ম্যাচের ২০ মিনিটে মেসি বল পেয়ে একাই চেলসির রক্ষণ ভাগ গুঁড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন, যখন চেলসির ডিফেন্ডাররা ভাবছিলেন মেসি নিজে শট নিবেন তখন তিনি বল পাস করে দেন ফরাসি উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে কে। ডেম্বেলের কাজ টি ঠিকঠাক করতে কোন রকম অসুবিধা হয় নি। বার্সা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এরপর মেসি তার দ্বিতীয় গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন।তবে মেসির দিনে বার্সা কে ছেড়ে কথা বলে নি চেলসি কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না।ম্যাচের ৪৫ ভাগ সময় বল ছিল চেলসির খেলোয়ারদের পায়ে। চেলসি বেশ কয়েক গোছানো আক্রমণ করে বার্সা রক্ষণ কে ভয় ধরিয়ে দিতে পারলেও রক্ষণ কে ফাঁকি দিয়ে গোলের দেখা পায় নি।
৪৮ মিনিটে চেলসি বার্সার ডি বক্সে পেনাল্টির জোরালো আবেদন জানালেও রেফারি সায় দেন নি। পরে টিভি রিপ্লে তে দেখা যায় রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
চেলসির হ্যাজার্ড-ফ্যাব্রিগাসরা গতকালের ম্যাচের গোলমুখে ১৩-১৪ টি শট নিলেও সেগুলো বার্সার রক্ষণ ভাগ নয়ত গোলকিপার আটকে দিয়েছে।
তবে ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচ ই মেসির প্রশংসা করেছেন।
চেলসির কোচ কন্তে বললেন, মেসির প্রশংসা করার সুযোগ কারোরই হাতছাড়া করা উচিত নয়। যখন সুযোগ আসবে, অবশ্যই তাঁর প্রশংসা করতে হবে। এমন ম্যাচেই একজন সত্যিকার ‘টপ’ খেলোয়াড়কে চেনা যায়।
বার্সায় মেসির গুরু আরনেস্তো ভেলভার্দের গলায়ও ঝরে পড়ল প্রিয় ছাত্রের প্রতি ভালোবাসা। তিনি বলেন, ‘সে জানে কিছু মুহূর্তে তারকাদের বেরিয়ে আসতে হয়। ওর দলে থাকা আমরা উপভোগ করি। এমন একজনকে দলে পেয়ে আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, যে ইতিহাসেরই অংশ।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply