নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরে শংকরপুর প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ খান নামে এক বিতর্কিত যুবক খুন হয়েছে। সে শহরতলী শংকরপুর রায়পাড়ার মুরাদ খানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শতরতলী রেল স্টেশন বাজার খাজা বেকারির সামনে এ ঘটনা ঘটে । যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের পকেট থেকে একটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে জরুরি বিভাগের ডাক্তার কাজল মল্লিক জানিয়েছেন স্থানীয়রা নিহতকে জরুরি বিভাগে আনলে তিনি ব্যবস্থপত্র দেয়ার সময় পকেটে কিছুই ছিলোনা।
নিহতের পিতা মুরাদ খান জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন তার ছেলের সাথে ক্ষমতাশীন দলের এক গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিলো। নিহত আব্দুল্লাহ ঈদের ২য় দিন বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর পরিবারের কাছে খবর আসে রেল স্টেশন বাজার খাজা বেকারির সামনে একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে আট টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের জোরদাবি, তারা নিহত আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এরপর জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে ব্যবস্থাপত্রদিয়ে সার্জারি ওয়ার্ডের অপারেশন রুমে প্রেরণ করেন।
যদি নিহতের পকেটে বোমা থাকতো তাহলে অবশ্যই জরুরি বিভাগের ডাক্তার বা অপারেশন রুমের কর্মচারিদের চোখে পড়তো। কেননা অপারেশন রুমের কর্মচারিরা নিহতের জামা-প্যান্ট কেটে ফেলেন তার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতস্থানে সেবার জন্যে। এরপর সেখানে মৃত্যুর পর তাকে মর্গে প্রেরণ করা হয়। আর মর্গে নিহতের পকেট থেকে বোমা উদ্ধার সম্পর্ন হামলাকারীদের সাজানো নাটক। জরুরি বিভাগের ডাক্তার কাজল মল্লিক জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনা থেকেই নিহতের অবস্থা আশংকাজনক ছিলো। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগে রোগীর পকেটে তিনি কিছুই দেখেনি। যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছেন। হাসপাতালে এসে নিহতের স্বজনদের সাথে হত্যার সঠিক কারন জানতে কথা বলেছেন। আসামীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। নিহতের পকেটে মর্গে থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জোর তদন্ত চলেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply