নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : বেনাপোলে সোমবার গভীর রাতে পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভেঙে তছনছসহ লুটপাট করেছে দুবৃত্তরা। এ কার্যালয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সমর্থিত। শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। এর একটির নেতৃত্ব দেন মেয়র, অন্যটি এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। মেয়র লিটন সমর্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিদিন ইফতার পার্টিতে জনসমর্থন দেখে একটি কুচক্রি মহল ঈর্ষাম্বিত হয়ে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মেয়র পক্ষের লোকজন জানান। যশোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেহ মাসুদ করিম, এসআই পিন্টু লাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তারা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উপরে তিনতলায় থাকেন ওই বাড়ির মালিক বজলুর রহমান ও তার পরিবার। তিনি ও তার স্ত্রী এবং স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী মুখে কাপড় বেঁধে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে মেয়র লিটনের অফিস কক্ষ তছনছ করে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে সাজানো অফিসের সকল ধরনের ছবি কুপিয়ে ছিড়ে ফেলা হয়। অফিসের চেয়ার টেবিল, টিভিসহ সকল আসবাবপত্র কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়।
ওই অফিসের কাজে ব্যবহৃত দুটি কম্পিউটারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। যশোরের শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের অনতি বিলম্বে আটক করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যারা কুপিয়ে তছনছ করেছে তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আজিবরসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
আরও জানান,আজিবর রহমান দলীয় কার্যালয়ের হলরুম ছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি, বানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও বানী দিয়ে সাজানো। সারা বাংলাদেশে এমন করে সাজানো গোছানো অফিস খুব কমই আছে। আর সেই অফিসে একই দলের সন্ত্রাসীরা ঢুকে যে ভাবে তছনছ করে ভাঙচুর করেছে সে দৃশ্য মেনে নেওয়ার মত কোন ঘটনা নয়। তিনি দাবী করেছেন শার্শার শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদপুষ্ট ও লালিত সন্ত্রাসীরা এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বেশ কিছু দিন গুঞ্জন চলছিল মেয়র সমর্থিত বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ অফিসে ইফতার পার্টিতে হামলার পরিকল্পনা করা হবে। এ অফিসে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ জন লোক ইফাতার পার্টিতে হাজির হতেন। এরকম জনপ্রিয়তা দেখে ওই সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।সন্ত্রাসীরা তালা ভেঙে অফিসকক্ষে প্রবেশ করার পর সিসি ক্যামেরার কাটআউট খুলে ফেলে বলে জানান ওই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল ইসলাম রেজা। ঘটনাস্থলে তালা কাটার জন্য আনা একটি ছোট করাত দেখা গেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply