নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি: যশোরে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ১০ বছরের সেই শিশু জন্ম দিলো পুত্র সন্তান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসকরা শনিবার সিজার করে তার সন্তান প্রসাব করেছেন। যার ওজন আড়াই কেজি। প্রসবের সংবাদ পেয়ে হাসপাতালের তত্তাবধায়ক শিশু মাকে দেখতে যান। এই শিশুর স্বজনরা জানান, ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত বুধবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় তার অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক নিলুফার ইসলাম তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন।পরিবার আভাবের কারণে তাকে খুলনায় নিতে না পারায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে রয়ে যায়। গত শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক নিলুফার
ইসলাম ও ডা. তানজিলা ইসলাম সিজার করে পুত্র সন্তান প্রসাব করান। প্রসবের পর শিশুটির ওজন হয়েছে আড়াই কেজি। শিশুর অবস্থা ভাল। তবে অল্প বয়সে মা হওয়ায় তার অবস্থায় যতটুকু ভাল থাকার কথা সে পরিমাণে ভাল নেই। তবে মোটামুটি ভাল আছে বলে জানান চিকিৎসক নিলুফার ইসলাম।১০ বছরের শিশু সন্তান প্রসবের সংবাদ পেয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ শিশু মাকে দেখতে যান। এসময় তিনি খোঁজ খবর নেন। পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সহকারি
কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার লালসার শিকার হন তার বাড়ির গৃহপারিচারিকা ১০ বছরের শিশু। পরবর্তীতে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হলে ওই শিশুটি গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পুলিশ এই সময় তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং এসময় তার ডিএনএ টেস্ট করে রিপোর্ট সংরক্ষণ করে। সন্তান প্রসবের পর তার ডিএনএ টেস্ট করে গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে
চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এছাড়াও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, মা ও বাচ্চা ভালো আছে৷ তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব হাসপাতাল নিয়েছে৷ এই মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা মনিরানপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই ) সমেন জানান, মা ও বাচ্চা একটু সুস্থ হলে আদালতের আদেশে পাওয়ার পরে বাচ্চার ডিএনএ টেষ্ট করানো হবে৷
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply