নতুন বাংলা বর্ষবরণে শনিবার ভোর থেকেই রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক মানুষ। রঙিন পোশাকে সব বয়সী মানুষ মেতে ওঠেন উৎসবে। ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পহেলা বৈশাখকে ঘিরে অনেকের নানা আয়োজন থাকে। সবাই দিনটাকে নিজেদের মতো করে নিতে চায়। সেটা প্রতি বছর হয়ে থাকে।
কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড়। আর এতেই অনেকের আয়োজন পণ্ড হেয়ে যায়। তবে কোনো অঘটন ছাড়াই দিনটি নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে সারাদেশে।
বৈশাখী উৎসবের নগরীতে বিকেলে হঠাৎ বিড়ম্বনা নিয়ে হাজির হয় ঝড়ো বৃষ্টি। সারা দিনের আনন্দ তাই শেষ বিকেলে এসে পণ্ড। বিকেল ৪টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, আধা ঘণ্টাখানেক পর শুরু হয় ঝড়ো বৃষ্টি, পড়ছিল শিলাও।
বৃষ্টি শুরু হলে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় বৈশাখের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া দর্শনার্থীরা ছোটের আশ্রয়ের খোঁজে। আবার অনেকে বৃষ্টিতে কাক-ভিজেই রওনা হন গন্তব্যের দিকে।
দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিলেন সংবাদকর্মী ফাহিম। বৃষ্টিতে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শেষ সময়ে একটু ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা হয়ে উঠল না।
কাজের জন্য সকালে সময় না হওয়ায় বিকেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈশাখী উৎসবে এসেছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, শিশুরা অপেক্ষা করে ছিল ঘুরবে, গান শুনবে বলে। কিন্তু বৃষ্টিতে তো সব পণ্ড হয়ে গেল।
দিনভর বিক্রিতে খুশি হলেও শেষ সময়ের বৃষ্টি বাধায় হতাশ প্রকাশ করেছেন বৈশাখী মেলায় বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিরা।
বৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন খেলনা ও খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।একজন মুড়ি-মুড়কি বিক্রেতা বলেন, একদিন বিক্রির জন্য তো আমরা অপেক্ষা করে থাকি। সকাল থেকে ভালোই বেঁচছি। কিন্তু ফেরার সময় অনেকে তো বাসায় কিনে নিয়ে যায়। সেই বিক্রি আর হলো না।
বৃষ্টির বাগড়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছিল উৎসবমুখর। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল পুরো এলাকা। নানা রংয়ের পোশাক ও সাজে সেজে এসেছিলেন তরুণ-তরুণীরা, বাদ যায়নি শিশুরাও। বৈশাখের নানা আয়োজন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে তাদের উপস্থিতিতে।
বৈশাখের নিরাপত্তায়ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোহেলী আক্তার কণা বলেন, এবার কোনো ঝামেলা হয়নি, এটাই আনন্দের। এসব পাবলিক উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই সবচেয়ে জরুরি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply