শনিবার রাতে রনিকে আটক করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজ উদ্দীন। কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে রনি সংসদ ভবনের সামনে থেকে একটি মেয়েকে প্রাইভেটকারে করে তুলে মোহাম্মদপুরের দিকে নিয়ে আসে। সম্ভবত ওই মেয়েকে রনি ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এর পরে স্থানীয়রা সেটা বুঝতে পেরে রনিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেয়। তারপরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা রনিকে মদ্যপ অবস্থায় পাই। এরপরে আমরা থানায় নিয়ে আসি।’
রনি হক গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গাড়িতে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। রনিকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করে রাস্তার মানুষ। এ দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জনতা মারধর করে রনিকে পুলিশে দেয় শনিবার রাতেই। সেই রনির বিরুদ্ধ রোববার বিকেলে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন এক তরুণী। ওই মামলায় রনিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। রনির পুরো নাম মাহমুদুল হক রনি।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানান, মামলায় রনির পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালককেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি (নম্বর- ঢাকা মেট্রো গ- ২৯-৫৪১৪) আটক করেছে পুলিশ।
ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘মামলার এজহারে ওই নারী অপহরণ করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। আগামীকাল সোমবার সকালে ভুক্তভোগী ওই দুই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। আপাতত ওই দুই নারীকে থানা হেফাজতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।’
ওসি বিশ্বাস জানান, মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, তিনি ও আরেক তরুণী কলেজ গেট এলাকায় রনির গাড়ি থামিয়ে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর এক তরুণীকে শিশু মেলার কাছে নামিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা অন্য তরুণীকে ধর্ষণ করেন রনি। বিষয়টি ব্যস্ত সড়কে থাকা মানুষেরা টের পেয়ে তাঁদের গাড়ি থেকে বের করে মারধর করে।
গোপাল গণেশ বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখছি বিষয়টি। আগামীকাল সকালে রনিকে আদালতে পাঠানো হবে। পালিয়ে যাওয়া ড্রাইভারকে খুঁজছি আমরা।’
ওসি বিশ্বাস আরো জানান, আসামি রনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকায় থাকেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রনিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধোলাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায়, উত্তেজিত মানুষ রনিকে চড়-থাপ্পড় মারছেন, গণধোলাই দিচ্ছেন। ওই ভিডিওতেই দেখা যায় গাড়িতে থাকা একজন নগ্ন হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
ফেসবুকে তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্তের ছবি দেয়া। দেখে কে বলবে, এই মানুষের ভেতরেই লুকিয়ে ছিলো এমন বীভৎস এক পশু সত্ত্বা।
এজন্যে পারিবারিক শিক্ষাটা খুব বেশি প্রয়োজন। নাহলে যে স্তরেই থাক না কেন, অমানুষের রূপটা একদিন ঠিক বের হয়ে পড়বেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply