করোলা স্বাদে কটু বা তিক্ত হলে কি হবে স্বাস্থোর পক্ষে খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই করোলার তরকারি খাওয়ার প্রচলন।
করোলা আমরা দু ধরনের দেখতে পাই-বড় করোলা এবং উচ্ছে বা ছোট করোলা। অনেক সময় তরকারি রান্না করতে গিয়ে করোলার তেতো ভাব কমানোর জন্যে টুকরো করে কেটে, নুন মাখিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিয়ে রস নিংড়ে নেওয়া হয়। করোলার ওপরকার ছালও ছড়িয়ে নেওয়া হয়। এতে তেতো ভাব কমে বটে কিন্তু এইভাবে ছাল ছাড়িয়ে ও রস নিংড়ে খেলে করোলার গুণ অনেক কমে যায়। করোলার তেতোভাব কমাতে এই সব প্রক্রিয়া না করে বরঞ্চ করোলার তরকারি পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করলে, করোলা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে আমচুর জিরে ভাজা গুঁড়ো রসুন ইত্যাদি দিলে বা মশলা ভরে আস্ত পুরভরা করোলা বা কলৌঁজি রান্না করলে তেতো ভাব কমে যায় খেতে ও ভাল লাগে এবং নানা রকম মশলাপাতির সংযোগে খাদ্যগুণ আরও বেড়ে যায়।
সুস্থ থাকতে করোলা ও উচ্ছে:
১। জ্বর ও শরীরের কোন অংশ ফুলে ওঠায় করোলা হল পথ্য।
২। করোলার তরকারি বায়ু বৃদ্ধিতে, বাতে, যকৃৎ অর্থাৎ লিভার ও প্লীহার পিলে রোগে আর ত্বকের অসুখে উপকার দেয়।
৩। ডায়বেটিস রোগীদের পক্ষে করোলা তো খুবই ভাল অব্যর্থই বলা চলে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত করোলার রস খেলে এবং খাওয়া দাওয়ার নিয়ম মেনে চললে ডায়বেটিস মধুমেহ সারবেই।
৪। তেতো বের না করে ফেলে করোলার তরকারি, চচ্চড়ি, করোলা ভাতে, বেগুন দিয়ে করোলা ভাজা প্রভৃতি নিয়ম করে ভাত-রুটির সঙ্গে খেলেও এই অসুখে উপকার পাওয়া যায়।
৫। আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে করোলার বিশেষ উল্লেখ নেই কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন নিয়মিত করোলা খেলে তা পরম ওষুধের কাজ করে অনেক রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৬। করোলা শীতল, তাড়াতাড়ি হজম হয়, শরীরের ভেতরে জমে থাকা মল বের করে দেয়, স্বাদে তিক্ত, খেলে বায়ুর সৃষ্টি হয় না।
৭। বাত, পিত্ত, রক্তের দোষ, জনডিস, কৃমি ও যৌন ব্যাধি সারে।
৮। উচ্ছে ও করোলার মতোই গুণকারক। উচ্ছের আর একটি বিশেষ গুণ হল এই তরকারি খেলে খিদে বেড়ে যায় এবং উচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি হজম ও হয়ে যায়। বড় করোলার চেয়ে ছোট ছোট উচ্ছেই বেশি উপকারী।
৯। বড় করোলা গ্যাস ও জনডিস সারিয়ে তোলে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply