পুদিনার অনেক গুণ। গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাঁচা পুদিনা পাতা বেটে লেবুর রস কাঁচা আম বা তেঁতুল দিয়ে চাটনি তৈরি করা হয় – তা খেয়ে শরীর জুড়োয় ও স্নিগ্ধ হয়। পুদিনার নানা গুণাবলীর জন্যে পুদিনার অনেক নাম আছে। নামেই গুণের পরিচয় যেমন অজীর্ণহর, শাকশোভন, সুগন্ধিপত্র।
আয়ুর্বেদের মতে : পুদিনা গুরু, স্বাদু, খাওয়ার রুচি বাড়ায়, খিদে বাড়ায়, বল বৃদ্ধি করে, হার্টের পক্ষে ভাল, মনে ও শরীর সুখের আমেজ আনে, অত্যবিধ মল ত্যাগ ও মূত্রাবেগ থামায় ও কফ বাত হরণ করে। কাশি, উন্মত্ততা, অখিদে, অজীর্ণ বা বদহজম, পেটের অসুখ, একটানা পুরনো পেটের অসুখ, পুরনো জ্বর ও আন্ত্রিক রোগ সারায়। কৃমি ও অরুচি নাশ করে, বমি থামিয়ে দেয়। পুদিনার চাটনি যেমন খেতে মুখরোচক তেমনই হজমেও সাহায্য করে।
আধুনিক মতে: পুদিনা বায়ু নাশ করে, জমে থাকা পেটের বায়ু নির্গমনে সাহায্য করে। অজীর্ণতা সারিয়ে দেয়, খিদে না হওয়া অর্থাৎ অগ্নিমান্দ্য দূর করে। সব রকমের শূল ব্যথা সারায় বিশেষ করে অম্বলের জন্যে যে তীব্র ব্যথা হয় যাকে অম্লশূল বলা হয় তা নাশ করে। কফ দূর করে, পেট পরিষ্কার করে, শরীরের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে। ডিসপেপসিয়ার নরম ওষুধ, পাকস্থলী স্নিগ্ধ রাখে।
পুদিনা চা : বেশি চা খেলে শরীর খারাপ হয় এ তো জানা কথা। বিশেষত আমাদের দেশের মতো গরম দেশে বেশি চা খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বহুদিন আগে একজন কৃষিবিজ্ঞানী পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি একরকম চায়ের উদ্ভাবন করেছিলেন যা খেলে চা খাওয়ার তৃষ্ণা মেটে অথচ শরীর ঠাণ্ডা থাকে। ঠিক চায়ের মতো করেই চায়ের পাতার বদলে পুদিনা পাতা সেইসঙ্গে দুধ চিনি গোলমরিচ ও মৌরি দিয়ে এই চা তৈরি করতে হবে। এই চা খেতে সুস্বাদু এবং খেলে তৃপ্তি হয়। শরীরের পক্ষে পুষ্টিকর ও হিতকর পানীয়। খিদে ও পরিপাক শক্তি বাড়ায়। স্বাস্থোর পক্ষে ভাল এবং সব দিক থেকে উপকারী।
হাকিমি বা ইউনানি মতে : পুদিনা পাতা খেলে শরীরের তাপ বাড়ে। শরীরের দূষিত পদার্থ মলের সাহায্যে বেরিয়ে যায়। পাকস্থলী, বুকের ও কিডনির যাবতীয় গ্লানি ও ক্লেদও দূর হয়। বমি ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। বদহজম ও গা বমি ভারেব এটি একটি অব্যর্থ ওষুধ। পেটের দূষিত বায়ু নিঃসারিত করে ও বায়ু জনিত অস্বস্তি দূর করে। জনডিস রোগের ওষুধ। প্রস্রা্ব ও ঘামের সাহায্যে শরীরে সব গ্লানি বের করে দেয় –মেয়েদের ঋতু পরিষ্কার হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply