পাকা তেঁতুলের আছে নানা ওষধি গুণ। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ু নাশক বলা হয়। এছাড়া পাকা তেঁতুল সারক বায়ু ও মল নিষ্কাশন করে, খিদে বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী পাকা তেঁতুলে আছে মৃদু জোলাপের গুণ অর্থাৎ পেট পরিষ্কার করে শরীর শীতল করে।
তেঁতুল গাছের ছাল, ফুল ,পাতা, বিচি, ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তেঁতুলের আচার, তেঁতুল ছড়া, অম্বল, টক, চাটনি, পানা, গুড়-তেঁতুল সবই রসনায় খুব প্রিয়। চাটনি বা আচার অম্ল স্বাদ করবার জন্যে মেশানো হয় সুলভ তেঁতুল।
ওষুধ হিসেবে তেঁতুলের ব্যবহারঃ –
১। জলে ভেজানো তেঁতুলের পাতলা রস চিনি মিশিয়ে খেলে তৃষ্ণা নিবারণ হয় ও খিদে বাড়ে।
২। কোষ্ঠবদ্ধতা জ্বর, শরীর জ্বালা করা প্রভৃতি রোগে জলে ভেজানো তেঁতুলের শরবত খেলে রোগ কমে।
৩। তেঁতুল বীজের শাঁস পুরোনো পেটের অসুখে উপকারী।
৪। তেঁতুল পাতার ক্বাথ কৃমি নাশ করে, চোখ ওঠা সারিয়ে দেয়। চোখ-ওঠায় তেঁতুল পাতার ক্বাথ দিয়ে চোখ ধুলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। তেঁতুল পাতার ক্বাথ লাগালে জ্বালা কমে।
৬। পাকা তেঁতুলের শাঁস খেলে স্কার্ভি রোগ ও চর্মরোগ সেরে যায়।
৭। জ্বর, পিপাসা, সর্দিগর্মি, পিত্তের জন্যে যে বমি হয় সেই সব রোগে পাকা তেঁতুলের শাঁস উপকারী।
৮। মুখের ঘায়ে বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচী করলে উপকার পাওয়া যায়।
ব্যথায় কাঁচা তেঁতুলঃ-
১। পান্তা ভাতের জলে তিল তেল মিশিয়ে কাঁচা তেঁতুল বেটে নিতে হবে।
২। তেঁতুল গাছের গুকনো ছালের প্রলেপ ক্ষত স্থানে লাগালে ঘা শুকিয়ে যায়।
সুস্থ রাখতে তেঁতুল পাতাঃ-
১। কচি তেঁতুলের পাতা সেদ্ধ করে সেই জল খেলে পেটের অসুখ সারে।
২। কচি তেঁতুল পাতা বেটে জলে মিশিয়ে খেলে আমাশা, পিত্তের জন্যে যে জ্বর হয় সেই জ্বর ও প্রমেহ (যৌনব্যাধি) সারে।
৩। তেঁতুল পাতা বাটার প্রলেপ লাগালে ফুলো কমে, জ্বালা ও কমে।
৪। তেঁতুল পাতা ও গোলমরিচ বাটার প্রলেপ লাগালে মাকড়সার বিষের জন্যে যে ঘা হয় তাতে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
৫। তেঁতুল পাতার পুঁটলি বেঁধে চোখে বুলিয়ে দিতে থাকলে চোখ ওঠায় আরাম পাওয়া যায়।
সুস্থ রাখতে পুরোনো তেঁতুলঃ-
১। পুরোনো তেঁতুল ও মিশ্রি ভেজানো জল খেলে আমাশা, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। একবারে দুই চা চামচ জল খেলেই চলবে।
২। হুপিং কাশিতে পুরোনো তেঁতুল ২ চা চামচ চার চা চামচ আখের গুড়ে মিশিয়ে ১০০ গ্রাম জলে পাথর বাটিতে গুলে প্রতিদিন ২ চা চামচ করে খাওয়াতে পারেন।
৩। টি বি ছাড়া অন্য যে কোনো ধরনের কাশিতে কুরোনো তেঁতুলের ক্বাথ রোদ্দুরে গরম করে চুষে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। শ্বেত চন্দন বাটার সঙ্গে পুরোনো তেঁতুল বাটা গায়ে লাগালে চুলকুনি সারে।
৫। জ্বর, শরীর জ্বালা করা ও বমি ও তৃষ্ণায় অল্প পরিমাণে পুরোনো তেঁতুল পাথর বাটিতে জলে গুলে মিশ্রি ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply