ছোটগল্প :অধরা
শেখ আশরাফুল ইসলাম অধরা
দৃশ্য -০৪
অর্পিতা, অর্ণব কে বললো কি হয়েছে ভাইয়া?অর্ণব যেন প্রমানের অভাবে কথাটা ছাপিয়ে গেল দূর স্বপ্ন হবে বুঝি। অর্ণবের বাবা বললো যাইহোক যা ঘুমাতে যা।এ ভাবে দ্বিতীয় দিন গড়িয়ে তৃতীয় দিনে পড়তে লাগলো। এ দিকে অর্ণবের সব কাজ কর্ম যেন বিরক্তি কর মনে হচ্ছে ঐ বিষয় টার সমাধান না করা
পর্যন্ত। অর্ণব চিন্তা করে আজ আমাকে এর একটা বিহিত করতেই হবে নয়লে নয়-আর কত দিন এই জ্বালা সহ্য করবো।তাই, সে নিজ মনে এর সমাধা এঁকে সে ঘুমাতে গেল তার বিছানায়।ঠিক রাত বারোটা বাজার বিশ মিনিট পূর্বে।অধরা তাকে ডাকেনি কারণ,অধরা আজ কাজ করে একটু বেশিই ক্লান্ত ভাব দেখাচ্ছে। এখন যেন রাত বারোটা বাজতে এক মিনিট বাকি;কিন্ত,আজ যেন সেই পূর্বের মতো আলোকসজ্জা রূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্ত কেন!!অর্ণব
এর মনে আরও জটলা বাঁধতে থাকলো না কি আজ সে সমাধান করতে পারবে না।সে ভাল ভাবে লক্ষ্য করে দেখলো বাতি জ্বলছে না ঠিকি,কিন্ত,অধরা তার পাশে নেই। অর্ণব দেখলো অধরা দরজা খুলে একা একা কোথায় যেন যাচ্ছে। সে অন্য দিকে নজর না দিয়ে অধরার পিছু নিলো, অধরা কোথায় যায়।সে
তাদের বাসার উপর দিকের সিঁড়ি বেয়ে সোজা ছাঁদের দিকে যাচ্ছে। কিন্ত,ছাদেতো দরজায় তালা দেওয়া ছিল খুলে দিল কে?অর্ণব!অর্ণব আজ এর একটা বিহিত করেই ছাড়বে তাই সে পিছু হটলো না।পরাক্ষণে, ছাদ আলোকসজ্জা সজ্জিত হলো অধরা নব বধূ সাজলো। সে বসে আছে চেয়ারের উপর,খানিক পরেই
হা হা হা শব্দে অধরা অর্ণব কে স্বাগতম জানালো কাছে এসো, কাছে এসো বলে।অর্ণব ও তার ভয় কে দূরে ঠেলে দিয়ে সামনে দিকে যেতে লাগলো।কিছু টা যাবার পর অর্ণব আর না যেয়ে বললো তুমি কে?আর তুমি আমাকে এ ভাবে কেন বিরক্ত করছো?হ্যাঁ,আজ সব বললো,কিন্ত প্রথমেই একটি সত্য কথা বলে নেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply