হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেন, শেষ জমানায় ইলম তুলে নেয়া হবে, অজ্ঞতা ও ফিতনা ফেসাদের সম্প্রসারণ ঘটবে এবং হারাজ বৃদ্ধি পাবে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! হারাজ কী? তিনি হাতের ইশারায় বললেন, এ রকম মনে হয় তিনি এর দ্বারা হত্যা বুঝিয়েছেন।
জ্ঞান অর্জনের জন্য ভ্রমণ করা:
১০৫. হাদীস: আবু জামরা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) ও লোকদের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম। একদিন হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বললেন, আবদুল কায়েস গোত্রের একটি প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট এলে তিনি বললেন, তোমরা কোন প্রতিনিধি দল? তারা বলল, রবীয়া গোত্রের।
তিনি বললেন, স্বাগতম এ প্রতিনিধি দলের প্রতি। এরা অপদস্ত ও লাঞ্ছিত না হয়েই এসেছে। তারা বলল, আমরা বহুদূর থেকে এসেছি। আমাদের ও আপনার মাঝে রয়েছে কাফিরদের মুযার গোত্রের বাস। আমরা হারাম মাসে আপনার কাছে আসতে পারি না।
আমাদেরকে এমন কিছু নির্দেশ দিন, যা আমাদের রেখে আসা লোকদের কাছে পৌঁছতে পারি এবং তার ওসীলায় আমরা জান্নাত লাভ করতে পারি। তখন তিনি চারটি কাজের নির্দেশ করলেন এবং চারটি থেকে নিষেধ করলেন, (এক) আল্লাহর ওপর ঈমান আনা। তিনি বললে, ঈমান কি তোমরা কি জান? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেন, ঈমান হলো এই সাক্ষ্য দেয়া আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। (দ্বিতীয়) নামাজ কায়েম করা, (তৃতীয়) সদকা দেয়া ও (চতুর্থ) রজমানের রোযা রাখা এবং গণীমতের মাল থেকে এক পঞ্চমাংশ দান করা। আর নিষেধ করলেন শুকনো লাউয়ের খোল। সবুজ কলস ও আলকাতরার পালিশকৃত পাত্র ব্যবহার করতে।
শুবা বলেন কখনও খেজুর গাছ হতে তৈরি পাত্রের কথাও বলেছেন। আবার তিনি কখনও আত্তাকীর এর স্থলে আল মুকীর বলেছেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমরা এগুলো বেশি বেশি স্মরন রাখ এবং তোমাদের পেছনে যারা রয়েছে তাদের জানিয়ে দাও।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply