আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সংগীতাঙ্গনের অনেকে ভিড় করেছেন হাসপাতালে। পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, বাপ্পা মজুমদার, উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, আফজাল হোসেন, আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকন, সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, তপু, রুমি, কোনাল, মাহাদী, তপন চৌধুরী, রফিকুল আলম, প্রিন্স মাহমুদ, ফোয়াদ নাসের বাবু, লাবু রহমান, তপন মাহমুদ, ওয়ারফেইজের টিপু, অবসকিউরের সাইদ হাসান টিপু, আবিদুর রেজা জুয়েল, কনা, এলিটা, তাপস, অভিনেত্রী বন্যা মির্জাসহ শত শত মানুষের ঢল নেমেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে।
আইয়ুব বাচ্চুর- ‘ফেরারি এ মনটা আমার’ গানটা তার স্ত্রীকে নিয়ে লেখা। তিনি জানিয়েছিলেন,‘আমার স্ত্রীকে যখন মানে এখন যে আমার স্ত্রী, সে একসময় আমার প্রেমিকা ছিলো। তাকে অনেকদিন ওর পরিবার দেখতে দেয়নি আমাকে। ওর পরিবার থেকে আটকে রাখা হতো। ওই দুঃখ থেকে গানটা লেখা। তো ওই গানটা যে এতো বিখ্যাত হয়ে যাবে, এটা আমি কখনোই চিন্তা করিনি।’
আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী চন্দনা ও দুই সন্তান ফায়রুজ ও তাজওয়ার। তারা কোথায়? মৃত্যুকালে তার পাশে কেউ ছিলেন না? প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে ও মেয়ে শুক্রবার কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর শিল্পীর দাফন ও নামাজে জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার ছেলে ও মেয়ে দুজনেই কানাডায় পড়াশোনা করছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর গানের দল ‘এলআরবি’ এর ম্যানেজার শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে শিল্পীর এক ভাই রয়েছেন। তারা জানান, শিল্পীর মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
আইয়ুব বাচ্চুর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মইনুদ্দিন রাশেদ জানিয়েছেন, তার সহকারী সকালে মগবাজারের বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইয়ুব বাচ্চুর ভাই এরফান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি তার মগবাজারের বাসায় একাই থাকতেন। ১৬ অক্টোবর রংপুরে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply