জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে একটি নির্বাচনী রোড-শোতে অংশ নেয়ায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিসা বাতিল এবং দেশে ফিরে আসতে হয় এই নায়ককে।
নির্বাচনী রোড-শোতে অংশ নেয়ায় বিষয়ে ফেরদৌস দেশে ফিরে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
এদিকে দেশে ফিরে ১৭ এপ্রিল ফেরদৌস বলেছিলেন, ‘আমি বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার ভুল ছিল নির্বাচনী রোড-শোতে অংশ নেয়া। যেটা আমি পরে বুঝতে পেরেছি। আমি আশা করবো খুব দ্রুত সব কিছুর সমাধান হবে।’
এরপর এই নায়কের বিষয়ে ওপার বাংলার শিল্পী পরিবার মুখ না খুললেও কথা বলেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘ফেরদৌসের সঙ্গে সর্বশেষ ১১ এপ্রিল ছবির শুটিং করি। গত মঙ্গলবার নির্বাচনী বিতর্কের কথাটি জানতে পারি। এটুকু বলতে পারি, ফেরদৌস টলিউডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে যাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক সবকিছু বিবেচনা করা উচিৎ।’
এ দিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রতিবেদককে ঋতুপর্ণার মুখ খোলা নিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘ঋতুপর্ণা আমার খুব ভালো বন্ধু। এই সময় আমার পাশে দাড়ানোর জন্য আমি তাকে (ঋতুপর্ণা) ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে নির্মাল চক্রবর্তীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দু’জনই আমার খুব কাছের এবং প্রিয় মানুষ। ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। নতুন করে আর কিছু বলার নেই। তবে এখনও আমার সাথে টালিউডের কেউ এখনও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি চাই না যে আমার কারণে একটি প্রোডাকশন আটকে যাক। আমি চাই সব কিছু যেন দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।’
এখানেই শেষ না, গত কয়েকদিন আগে দেশের একটি গণমাধ্যমে বৈশাখী র্যালি ভেবে সেই দিন ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে সংবাদের শিরোনাম করা হচ্ছে তাকে নিয়ে। এনিয়ে বেশ বিব্রতের মধ্যে পড়েছেন নায়ক ফেরদৌস।
এ বিষয়ে রবিবার (২১ এপ্রিল) ফেরদৌস একান্তে প্রতিবেদকের কাছে বলেন,‘এমন উদ্দেশ্য মূলক সংবাদ শিরোনামে আমি বিভ্রান্তের মধ্যে পড়েছি। আমি জানিনা তারা কেন এই ধরণের শিরোনাম করেছে। সবাই জানেন আমি একটি নির্বাচনী রোড-শোতে অংশ নিয়েছিলাম। গণমাধ্যমে এর ছবিও প্রকাশ হয়েছে। তাহলে পহেলা বৈশাখ আসলো কোথায় থেকে?।’
তিনি বলেন, ‘এই সব গণমাধ্যমকে আমি বলবো আপনারা না জেনে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমার বিষয়ে কিছু লিখতে হলে আমাকে জানানো উচিত। আমি লিখিত ভাবে গণমাধ্যমকে জানয়েছি ঘটনা সম্পর্কে। আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। ক্ষমা চেয়েছি। যে গণমাধ্যম এই সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তাদের কোন সাক্ষাৎকার দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত রোবাবার (১৪ এপ্রিল) রোডশোতে অংশ নেন ফেরদৌস। আর এতেই ক্ষেপে যায় বিজেপি। ফলে তাকে ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে দাবি করে বিজেপি। ওই দিন মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগে তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরে যেতে বলেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply