শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত সংলাপে আসতে ‘বাধ্য হবে’।
মওদুদ বলেন, “তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন সংলাপের কোনো প্রয়োজন নাই। সংলাপের প্রয়োজন আপনারা বোধ করবেন। সময় এলে অবশ্যই সংলাপে আসতে এই সরকার বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। এটা এখন বলা যাবে না”
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা আবারও নাকচ করে বলেন, “কোনো প্রয়োজন তো দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনো কানে বাজে।…”
সাংবাদিকরা কাদেরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন – এবার নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ থাকছে কিনা।
জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি কী চায় বিএনপিও জানে না। আমাদের একটা সু-নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আমরা কী চাই সেটা বলতে আমাদের কোনো সমস্য নাই। দেশের সংবিধানের যে অরবিট আছে, এই সাংবিধানিক অরবিটের মধ্যে থেকে সরকার হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই আমরা।
“আর রাজনীতিতে ভালোবাসার কোনো স্থান নেই। রাজনীতি হচ্ছে হিসেবের অংক। হিসেবের অংকে করুণা করা, ভালবাসা দেওয়া, প্রেম করার কোনো সুযোগ নেই।”
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, “এসব অবান্তর কথা কেন বলেন। কোনো প্রয়োজন নেই এসব কথা বলার। যখন আন্দোলনের মুখে… যখন যেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সেই অবস্থার প্রেক্ষাপটেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেখানে সংলাপ হতে পারে, সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপরে।”
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, “আমাদের সামনের আজ বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে এক হতে হবে।”
সেই সঙ্গে নির্বাচনের ৯০ দিনে আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও তুলে ধরেন মওদুদ।
২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপার প্রয়াত সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও ইসলামিক পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আর্দশ নাগরিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
সংলাপ নিয়ে দুটি দলই পরস্পর বিরোধী মতবাদ ব্যক্ত করছে। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে আরো।
সুষ্ঠু ও সাধারন নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে সরকার নির্বাচিত হবেন, এমনটাই আশা জনসাধারনের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply