রুবেল সরদার,বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রশাসন, আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাবুগঞ্জের সন্ধা নদীতে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন একটি চক্র। উচ্চ আদালতের আদেশ বহাল রেখে স্থিতাবস্থা জারী করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। বাবুগঞ্জের লামচার ঘোষকাঠীর সন্ধা নদী সীমায় নদীর তলদেশ কেটে বালু উত্তোলনের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার কোর্ট। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর, পাঠাগার বসত বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপণা নদীগর্ভে বিলীন ঠেকাতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে গত ২৩ মে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন বাবুগঞ্জের পশ্চিম ভূতেরদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল কাদের মাল এবং আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেন আনইজীবি অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক বিল্লাহ্।
ফলে বাবুগঞ্জ উপজেলার সন্ধ্যা নদী থেকে বালু উত্তোলন অনুমোদনের কার্যকরিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। বিপরীতে সরকারপক্ষ ও সততা ট্রেডার্স রীটের স্থগিতাদেশ এর বিরুদ্ধে সি এম পি ফাইল করে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। ১৮ জুন মঙ্গলবার ঐ বালু মহল মামলার আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। শুনানি শেষে চেম্বার কোর্ট আপীল আবেদন মঞ্জুর করেননি
(হাইকোর্ট এর আদেশ স্থগিত করেনি) এবং চেম্বার কোর্ট ‘স্টাটাস কো’ (স্থিতাবস্থা) এর আদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ওই এলাকায় কোন পক্ষ কোন রকম কার্য পরিচালনা করতে পারবেন না। এব্যপারে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পক্ষ বালু উত্তোলন করলে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। শুধু তাই নয়, প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে আদালতের নজরে এনে আদালত অবমাননার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দুপুর ১২টায় সরেজমিনে যান পুলিশ প্রশাসন। এসময় বালু ইত্তোলনকারিরা ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর পক্ষদ্বয় পুনঃরায় বালু উত্তোলন শুরু করেন। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার বলেন, আদালতের আদেশ নামা হাতে পেলে তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply