ময়মনসিংহের নান্দাইলে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের মই দিয়ে। সেতুটি অনেক বছর ধরে ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। দীর্ঘ সময় সেতুটি ব্যবহার না করায় বিভিন্ন অংশ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভেঙ্গে গেছে রেলিংয়ের কিছু অংশ। স্থানীয়রা জানায়, আনুমানিক ১৯৯৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল নান্দাইল পৌরসভার শেষ সীমানা কান্দাপাড়া মহল্লার সঙ্গে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মেরাকোনাসহ কয়েকটি গ্রামকে যুক্ত করার জন্য। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নান্দাইল পৌরসভার নতুন মসজিদ এলাকা থেকে পিচঢালা একটি সড়ক সরাসরি চলে গেছে কান্দাপাড়া মহল্লায়। ওই সড়ক ধরে এগিয়ে গেলে সেতুটি দেখা যায়। সেতুর দুই প্রান্তে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে ওঠার জন্য স্থানীয় লোকজন বাঁশের মই লাগিয়ে রেখেছেন।
কান্দাপাড়া মহল্লার রাহেলা আক্তার বলেন, তিনি বউ হয়ে আসার পর থেকে সেতুটি এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছি। মানুষের কাজে আসে না এমন সেতুর কী দরকার। ভাটি কান্দাপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান বলেন, সেতুটি ব্যবহার করতে যদি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়। তাহলে স্থানীয়রা সেতুটি ব্যবহার করতে পারবে। শেরপুর ইউনিয়নের মেরাকোনাসহ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী ও বাসিন্দারা বলেন, এখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের নান্দাইল-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক ও হেমগঞ্জ বাজার ঘুরে আসতে হচ্ছে। নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সোহরাব উদ্দিন বলেন, সংযোগ সড়কের এলাকাবাসীর অনেক রাস্তা ঘুরে নান্দাইল পৌরসভায় উঠতে হয়। তবে, এ ধরনের সড়ক নির্মাণ করার মতো তহবিল ইউনিয়ন পরিষদের হাতে নেই।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী মো: আবুল খায়ের মিয়া বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনেক আগে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব পাস হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সড়ক নির্মাণে খরচ বেশি হওয়ায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে সড়ক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে আবার প্রস্তাব পাঠানো হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply