কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার মিরপুরের কাতলামারী এলাকার বকাটে ছেলেদের অত্যাচারে হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে মুন্নি (১৫) নামের এক ৯ম শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা করার পূর্বে একটি চিঠির মাধ্যমে বাবা-মায়ের কাছে শেষ বারের মতো ক্ষমা চাই এবং তার আত্মহত্যার কারন লিখে যায় সে। এ ঘটনায় ঐ স্কুল ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরদিন শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়। মুন্নি খাতুন মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের হেকমত আলী ভাষার মেয়ে এবং কেবিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহতের চাচা হাসেম আলী জানান, শুক্রবার আমার বড় ভাই এর মেয়ের বিয়ে। এজন্য আমার সেজো ভাই এর মেয়ে মুন্নি এবং আমার মেয়ে আমলা বাজারে ফুল কিনতে যায়। এসময় আমলা বাজার থেকে এলাকার বকাটে জয়নাল প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আমলা ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এসময় তাকে আমলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আশরাফ মুন্নিকে উদ্ধার করে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য রেজেলা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করে।
এবং আমলা থেকে তার নিজ বাড়ী কাতলামারীতে আসার সময় পথিমধ্যে অটো গাড়ির গতিরোধ করে কাতলামারী এলাকার আরোবিয়ার ছেলে জয়নাল, আনছের আলীর ছেলে মিঠুন, রেজন আলীর ছেলে আঙ্গুর, নাসের রাজের ছেলে রাজু এবং আফতার আলীর ছেলে পারভেজ। তারা জোর করে মুন্নিকে পাশর্^বর্তী ছাদিমনের বাড়ীতে নিয়ে যায়। এর পরেই মুন্নি বাড়ীতে এসে আত্মহত্যা করে। হাসেম আলীর দাবী, জয়নাল ইতিপূর্বেও মুন্নিকে উত্যক্ত করতো। যা অনেকবার বাড়ীতেও বলেছে মুন্নি। শেষ চিঠিতে মুন্নি লিখেছে “আব্বু আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও।
আমি জানিনা কী করে কী হয়ে গেল। আমি তোমার মাননসম্মান বাঁচাতে পারলাম। আর আমি কোনো ইচ্ছা করে করিনি এই কাজ আমাকে জোর করে করানো হয়েছে। আর জয়নাল এমন কিছু করিনি। তোমারা সবাই মনে করছ ও আমার সাথে কিছু করছে। কিন্তু ও শুধু আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে। আর তোমার মানসম্মান ডোবালো। রাজ পাড়ার মিঠন, অঙ্গর এর তোমার মেয়ের ক্ষতি করল।
আমি যদি মরে থাকি তাহলে তুমি মনে করবা রাজ পাড়ার ছেলেদের জন্যই আমি মারা গিয়েছি। আর মা তুমি কষ্ট দিয়ো আমার কষ্ট শেষ করতে পারবে না। ভালো থেকো সবাই। -ইতি তোমার মেয়ে মুন্নি। এ ব্যপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার উপজেলার কাতলামারী রাজপাড়া গ্রামের আনছের আলীর ছেলে মিঠুন (২২), নাসের রাজের ছেলে রাজু (২২) এবং রেজ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply