দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করার প্রচলিত যে পদ্ধতি তাতে পরিবর্তন আনছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, এখন থেকে আর আগের মতো বছর জুড়ে এক শ্রেণিতে একজন ক্যাপ্টেন থাকবে না।
তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তারা একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন স্কুলগুলোতে। এগুলো হলো- নেতৃত্ববোধ, দায়িত্ববোধ ও পরিচ্ছন্নতা। সবার মধ্যেই যেন এসব গুণাবলী তৈরি হয় সেজন্য বছরে একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের পরিবর্তে প্রতি তিন মাস পর পর ক্যাপ্টেন পরিবর্তন করা হবে। এতে করে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে, যা তাদের মধ্যে নেতৃত্ববোধ তৈরি করার পাশাপাশি তাদের ভালো সংগঠকে পরিণত করবে।
বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে যারা শীর্ষে থাকে তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এসব ক্যাপ্টেনরা স্কুলে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করে থাকে।
কিন্তু মাউশির নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন শুধু পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে একজনকে নয় বরং প্রতি তিন মাস পর পর ৩/৪ জনকে এ দায়িত্ব দিতে হবে। এর ফলে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নেতৃত্ববোধের প্রশিক্ষণ পাবে শ্রেণিকক্ষ থেকে।
ড. আব্দুল মান্নান বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুণগত শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে অর্থাৎ শুধু ভালো ফল নয় বরং একজন শিক্ষার্থী ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে কি-না সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতৃত্বের সাথে দায়িত্ববোধের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়ার অংশ হিসেবে এখন থেকে স্কুলে যে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীরাই উপস্থাপনা বা পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আগে শিক্ষকরা এগুলো করতো আর শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতো। এখন শিক্ষার্থীরা করবে আর শিক্ষকরা আড়ালে থেকে তাদের সহায়তা করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) হিসেবে, বাংলাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৭৫টি আর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ১০৯টি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply