ঘটনা হলো, রশিদের আগুন ঝরা বোলিংয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ জিতে আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর মাত্র এক রানে জয়ী হয় আফগানিস্তান। শেষ ওভারে রশিদের সৌজন্যেই হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
তারপরই ক্রিকেট মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। রশিদের খেলায় মুগ্ধ হয়ে তাকে অভিনন্দন জানান হার্শা। আফগান তারকার প্রশংসা করে তিনি টুইট করেন, শেষ ওভারে দুর্দান্ত বল করে বাংলাদেশকে রুখে দিয়েছেন রশিদ। আফগানিস্তানের ফলাফলই প্রমাণ করে দিল রশিদ কতটা উন্নতি করেছেন।
এর জবাবে রশিদ লেখেন, “থ্যাঙ্ক ইউ ব্রো (ধন্যবাদ ভাই)”। আর তাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠে। অনেকেই রশিদকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছেন, জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারকে কীভাবে ভাই বলে সম্বোধন করছেন তিনি?
বয়সের ব্যবধান তো রয়েইছে, আবার ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার দিক থেকেও অনেকটাই সিনিয়র হার্শা। সেখানে দাঁড়িয়ে হার্শাকে ভাই বলে সম্বোধন করা রশিদের উচিত হয়নি বলেই মনে করছেন অনেকে। হার্শাকে ‘স্যর’ বলে টুইট করার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।
আইপিএলের ১১তম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে দারুণভাবে নজর কেড়েছেন আফগানিস্তানের লেগ-স্পিনার রশিদ খান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-২০ সিরিজেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। তার পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়ে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অভিনন্দন জানান রশিদকে।
জবাবে ধন্যবাদ জানান এই আফগান সুপারস্টার। এরপরই বাধে এই বিপত্তি। সমালোচনার মুখে পড়েন রশিদ খান। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামছে আফগানিস্তান।
তার আগে রশিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারতীয় নেটিজেনরা। যদিও নেটদুনিয়ার এই উত্তেজনা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি হার্শা ও রশিদ। ক্রিকেটীয় সম্পর্ক বিভেদের নয়, হয়ে উঠুক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধের। মাঠের প্রতিযোগিতা মাঠেই থাক। মাঠের বাইরে সকলে হয়ে থাক ভাতৃসম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply