জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি হাইকোর্ট। ফলে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে আর বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হাসেন সাজু। আর জামায়াত নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, আলী হোসেন, এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবিরের পক্ষে গত ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।
এর আগেও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ৪ জন নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে ও স্বতন্ত্র তিনজনের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদনের ওপর কোনও সাড়া না পেয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও মনোনীত ২৫ প্রার্থীসহ মোট ২৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে জামায়াতের মোট ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে করা রিটকারীদের আবেদন ৩ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply