ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মসজিদের ইমামের মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দরিদ্র পরিবারের তিন শিশুকে পিছমোড়া বেঁধে নির্দয়ভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার তিনটি শিশুই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সোহরাব উদ্দিন বাদী হয়ে ইসব আলী, আসাদ মিয়া, রুহুল আমিনসহ পাঁচজনকে আসামী করে গফরগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার মড়ল পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইছব আলীর মোবাইল চুরি হয় গত (২৪ মার্চ) রবিবার।এ ঘটনায় ইমাম ইছব আলী ঐ দিন সন্ধ্যায় মসজিদে আরবি পড়তে আসা পাশের কাঁচারী পাড়া এলাকার বাদাম বিক্রেতা সোহরাব মিয়ার ছেলে শাকিব, হেলাল মিয়ার ছেলে ইয়াছিন ও মুনা মিয়ার ছেলে আমিরুলকে সন্দেহ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই এলাকার বাপ্পী, আসাদ, রুহুল ও জিয়াউল শিশু তিনটিকে ধরে এনে মসজিদের সামনে পিছমোড়া বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।
এ সময় তিন শিশুর মধ্যে ইয়াছিন ও আমিরুলকে তাদের পরিবারের লোকজন এসে ছাড়িয়ে নিলেও সোহরাব মিয়ার ছেলে শাকিবকে কেউ ছাড়িয়ে নেয়নি।
পরে মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করার জন্য শাকিবকে লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে প্রহার করে ও মাথার কিছু চুল কেটে ফেলে।
এতে শাকিবের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ফুলে ব্যাথায় কাতরাতে থাকে। পরে খবর পেয়ে সোহরাব মিয়া ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান।
এ ঘটনায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পক্ষ নির্যাতনের শিকার তিন শিশুর পরিবারের লোকজনকে বিচার সালিশের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অহেতুক কালক্ষেপণ করে ও আইনের আশ্রয় নিতে বাধা প্রদান করে আসছে। বিচার না পেয়ে আজ সোমবার(০১ এপ্রিল) দুপুরে সোহরাব উদ্দিন বাদী হয়ে গফরগাও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভিযোগ পেয়ে এস আই নূর শাহীনকে অপরাধীদের ধরে আনার নির্দেশ দিয়েছি। এ ঘটনায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply