রাজধানীর হাতিরঝিলের ‘বিষফোঁড়া’ খ্যাত বিজিএমইএ ভবনের জায়গাটি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছ থেকে কেনা বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এজন্য এখানে ভবন করা বিজিএমইএর ভুল ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র নবনির্মিত কমপ্লেক্সে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ওই ভবনের জায়গা কিন্তু আমরা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছ থেকে কিনেছি পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমাদের কোনো ভুল ছিল না। ভুল ইপিবির ছিল। কিন্তু আমাদের এর জন্য নানান কথা শুনতে হয়েছে। এখন আমরা নতুন ভবনে চলে এসেছি। আমাদের আর কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না।’
উত্তরার নতুন ভবনে অফিসের কার্যক্রম শুরু করাকে সফলতা হিসেবে দেখছেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন ভবনে দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়েছে। আর তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০ এপ্রিল।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আপদকালীন সহায়তা হিসেবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শিল্প রক্ষায় অন্তত এক বছরের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছি। এ সহায়তা দিলে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে সরকার এ শিল্প থেকে চার গুণ বেশি রাজস্ব পাবে।’
ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘পোশাক শিল্প ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এর হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। তাই এনবিআর বলবো ভ্যাটের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রারি বন্ধ করুন।’
বন্ড সুবিধার অপব্যহারকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘কিছু ব্যাবসায়ী বন্ডের সুবিধার অপব্যবহার করছে। কিন্তু ঢালাওভাবে শিল্পকে দোষারোপ করা হচ্ছে; যা বিজিএমইএ এ সমর্থন করে না। তাই যারা বন্ডের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
এখনো ডাবল ডিজিটে ব্যাংক ঋণের সুদহার আদায় করছে অভিযোগ করে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশ এবং ঋণের নয় পরিষ্কার হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত উদ্যোক্তারা বাস্তবে এর কোনো সুফল পাচ্ছে না।’
মুচলেকা দিয়ে হাতিরঝিলের ভবন ভাঙার সময় নেয়ার পরও পুনরায় কেন আদালতে সময় চাওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো আবেদন করিনি। এখন কে এ আবেদন করেছে সেটা দেখার বিষয়। আমার কাছে কোর্ট থেকে কোনো নোটিশ এলে এর উত্তর দেব। আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলবো।’
এসময় বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এস.এস. মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply