কয়েক দিন আগেও তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের জটলা লেগেই থাকতো। ঢাকা থেকে সিলেট ফিরলে ভিড় লেগে থাকতো ওসমানী বিমানবন্দরে। ভিআইপি লাউঞ্জে পড়ে যেত হুড়োহুড়ি-ধাক্কাধাক্কি। গলা ফাটানো স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠতো বিমানবন্দর এলাকা। মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে নিয়ে আসা হতো বাসায়। সেই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ শুক্রবার যখন সিলেটে ফিরলেন তখন তার হুইল চেয়ার ধরার মতোও ছিল না কেউ। সাবেক এপিএস জনিকে নিয়ে একা একাই ওসমানী বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
গেল মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী মন্ত্রী মুহিতকে ঘিরে সবসময়ই আনাগোনা থাকতো সু-সময়ের বন্ধুদের। এদের অনেকেই গেল দশ বছরে দলীয় পরিচয়ের ছদ্মাবরণে অর্থমন্ত্রীকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে না পড়তেই তারাও ভুলে গেছেন মুহিতকে।
মুহিতকে দিয়ে আর ‘ফায়দা হাসিল’ হবে না- এমনটা বুঝেই ইতোমধ্যে তারা কেটে পড়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা একটা ৫০ মিনিটের সময় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেট যান আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিমান থেকে নেমে হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। জনশূন্য ভিআইপি লাউঞ্জ তখন অনেকটা অপরিচিতই মনে হচ্ছিল মুহিতের কাছে।
চিরচেনা পরিচিতমুখগুলো দেখতে না পেয়ে অনেকটা হতাশই মনে হচ্ছিল সাবেক এই অর্থমন্ত্রীকে। এতদিন যাদেরকে ‘কাছের মানুষ’ হিসেবে জানতেন তাদের মুখোশের অন্তরালের চেহারাটা হয়তো তখন ভাসছিল তার মনোচোখে!
তবে তথাকথিত সেই ‘কাছের মানুষদের’ মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। ভিআইপি লাউঞ্জের গেটে একমাত্র তিনিই স্বাগত জানান। পরে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত বিমানবন্দর থেকে চলে যান সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে বসে দেখেন সিলেট সিক্সার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply