রবিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় চর বাউশিয়ায় বিশ্বনন্দিত মোটর সাইকেল কোম্পানি হোন্ডা এবং বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (বিএসইসি)-এর যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্বোধন করা হয়েছে। আব্দুল মোমেন ইকোনমি জোনে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, এটি জাপান ও বাংলাদেশের বিনিয়োগের একটি সফল দৃষ্টান্ত। আজ থেকে এতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। দীর্ঘ ৫ বছরের প্রচেষ্টায় হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল সংযোজন থেকে নিজস্ব ফ্যাক্টরীতে উৎপাদন শুরু হলো। আমার বিশ্বাস এর মাধ্যমে জাপান বাংলাদেশর দ্বি-পাক্ষিক বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টার-পার্লামেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ ইকোনমি জোনের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ হোন্ডা প্রইভেট লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি।
এছাড়া হোন্ডার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, হোন্ডা মোটর কোম্পানি লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রডাকশন অপারেশন চিফ আফিসার ইয়োশি ইয়ামানে, হোন্ডা মোটর কোম্পানি লিমিটেডের আপারেটিং অফিসার নোরিয়াপি আবে, আপারেটিং অফিসার এশিয়া হোন্ডা মোটর মেকাম্পানি লিমিটেলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসায়াকি ইয়াগাবাশি, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়োইচিরো ইশি।
মুন্সীগঞ্জে ২৫ একর জমির উপর ২৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে যৌথভাবে এই কোম্পানি গড়ে তোলে হোন্ডা এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। হোন্ডার ৭০ ভাগ ও ৩০ ভাগ বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাত্র ১ বছরের মধ্যে ফ্যাক্টরিটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে সক্ষম হলো।
১৪ হাজার একর আয়তনের এই ফ্যাক্টরিটিতে বছরে ১ লাখ মোটর সাইকেল উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। বাজারের চাহিদা বুঝে এই ফ্যাক্টরিটি ২০২১ সালের মধ্যে ২ লাখ মোটর সাইকেলের উৎপাদনের ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্পূরক কর হ্রাস করায় সরকারের সহযোগিতায় এটি দ্রুত অগ্রসর হয়। যার ফলে বিএইচএল স্থানীয় বাজার হতে কাঁচামাল ক্রয় করে নতুন এই ফ্যাক্টরিতে স্পল্পমূল্যে উৎপাদন করে এদেশের মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে পারবে। প্রথমিকভাবে ফ্যাক্টরীটি বডিফ্রেম ও সুইং ইর্ম তৈরি করলেও খুব শিগগির অন্য অংশের উৎপাদনও শুরু করবে।
নতুন এই ফ্যাক্টরীটি চালু হওয়ায় যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি এখানকার কর্মীরাও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও কাজ করতে পারবে। বর্তমানে ৩৯০ জন জনবল নিয়ে কাজ শুরু করলেও সম্প্রসারণ বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনবল বাড়ানোরও ব্যাবস্থা নিবে কোম্পানিটি।
এই কারখানা তৈরীর মাধ্যমে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল খাতে আরও কিছুটা লাভবান হবে। এতে কিছুটা স্বল্পমূল্যে জনসাধারণ মোটরসাইকেল কিনতে পারবেন বলেও আশা করা যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply