বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠিত হয়। এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে খুলনায় গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান একটি রিট করেছেন জনস্বার্থে। কিন্তু এটা জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থ। কারণ তারা একটাও সুনির্দিষ্টভাবে গ্রেফতারের তথ্য দেখাতে পারেনি যে, মামলা ছাড়া কাউকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে খুলনায় গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে খুলনার বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক, ভোটের প্রচারণাকারীদের গণগ্রেফতার, হয়রানি করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের সুপারকে রুলের জবাব দিতে হবে।
আদেশের পরে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কেন এই গণগ্রেফতার, কেন এই হয়রানি সুপ্রিমকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
আর এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন এই যে, আইজিপি, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও খুলনা এসপির প্রতি। তাদের প্রতি নির্দেশনা হলো কাউকে গণগ্রেফতার করতে পারবে না। কাউকে হয়রানি করতে পারবে না, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না এবং এই রায়ের পরিপন্থী কোনো কার্যরক্রম তারা করতে পারবে না বলে আদালত একটা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল সুস্থ গনতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। দেশবাসী তাই এটিই আশা করছে সরকারের কাছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply