প্রথম শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিলো। মিরাজকে ওপেনিং এ নামানো একটু বিস্ময়কর তো ছিলোই। তা তিনি খেলছিলেনও ভালোই। ১২০ রানের জুটি করেছেন লিটনের সাথে। এরপরই কী হল বাংলাদেশের?
কুলদীপ যাদবের বল একটু বাইরে এসে খেলতে গিয়ে আউটের শিকার হয়েছেন লিটন। কুলদীপের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি স্টাম্প ভেঙে দিলে থার্ড আম্পায়ারের কাছে যায় সিদ্ধান্ত। বেশ কিছুক্ষণ দেখার পর আম্পায়ার আউটের সংকেত দেন। লিটনের পা লাইনে থাকার পরও আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, কারণ আইসিসির নিয়মে ব্যাটসম্যানের পা ‘অন দ্য লাইন’-এ থাকলেও তা আউট হিসেবে গণ্য হবে।
যাতে শেষ হয়ে যায় লিটনের ঝলমলে ইনিংসটি। ১১৭ বলের ইনিংসটি এই ওপেনার সাজিয়েছেন ১২ চার ও ২ ছক্কায়।
ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলের বিপর্যয়ে ঘুরে দাঁড়াতে তার জুড়ি নেই। তবে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে পারলেন না তিনি। ‘বিগ’ শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন তিনি।
মোহাম্মদ মিঠুনের আউটে তখন চাপে বাংলাদেশ। রান আউটের শিকার হয়ে মিঠুন (২) ফিরে যাওয়ার কিছু সময় পরই মাহমুদউল্লাহ আউট। স্লগ শট খেলতে গিয়ে সীমানার একেবারে সামনে থেকে তালুবন্দি হন জসপ্রিৎ বুমরাহর। প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে তিনি করেন মাত্র ৪ রান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পেলেন লিটন দাস। এখানেই থামলেন না, ইনিংস লম্বা করে একদিনের ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৪১ রানই ছিল ওয়ানডেতে লিটনের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওই ইনিংস ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সময়ই পার করেছেন তিনি। তবে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনে জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে পূরণ করেছেন ওয়ানডের প্রথম সেঞ্চুরি।
এবার আর পারলেন না মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার পথে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা এই ব্যাটসম্যান শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্যর্থ। তার আউটের বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট।
মুশিফকের আউটের আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইমরুল কায়েস। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি তিনি। ওয়ান ডাউনে নেমে দ্রুত ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। যুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন তিনি মাত্র ২ রান করে। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি ইমরুল।
শুরুটা যেমন চেয়েছে, তেমনটাই পেয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নতুন যোগ হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে ফিরিয়েছেন স্বস্তি। চমৎকার সমর্থন দিয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন মিরাজ।
কেদার যাদবের আঘাতে ভারত পায় প্রথম উইকেট। নিয়মিত বোলারদের হতাশার মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছেন এই পার্ট-টাইম বোলার। কেদারের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিরাজ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন আম্বাতি রাইডুর হাতে। ওপেনার হিসেবে নামা এই অলরাউন্ডার আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে করেছেন ৩২ রান।
অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন লিটন দাস। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে এশিয়া কাপের ফাইনালে পেলেন তিনি হাফসেঞ্চুরির দেখা। তার ব্যাটে ভর দিয়ে বাংলাদেশ পায় দারুণ শুরু।
তবে এরপরই সব ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো। আর একজনও পারলেন না তাঁর সঙ্গে দাঁড়াতে। ফলশ্রুতিতে ১২০ এ শূন্য উইকেটের পর ১০২ রানেই দশ উইকেট।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply